পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে/গুলি/‘ক্রসফায়ারে’/বন্দুকযুদ্ধে ২৭৫ জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। গতকাল আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এই তথ্য তুলে ধরে। সংগঠনটি থেকে বলা হয়, গত ৪ মে থেকে মাদকবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করেই নিহত হয়েছেন ১৭৬ জন। মানবাধিকার সংগঠনটি এই পরিসংখ্যানে রাজনৈতিক সংঘাত, কারা হেফাজতে মৃত্যু, সীমান্ত সংঘাত, গণপিটুনিতে হত্যা, নারী নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয়।
সংগঠনটি জানায়, ছয় মাসে প্রধান প্রধান জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে তারা এই পরিসংখ্যান তৈরি করে। দেখা যায়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে/বন্দুকযুদ্ধ/গুলি/ক্রসফায়ারে মোট ২৭৫ জন মারা গেছেন। ছয় মাসে কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৫০ জন। এর মধ্যে কয়েদি ২২ জন, হাজতি ২৮ জন। রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছে ১৬ জন। যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছেন ৫৮ জন নারী। এর মধ্যে যৌন হয়রানীর কারনে ৩ জন আত্মহত্যা করেছে। যৌন হয়রানীর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৪ জন পুরুষও নিহত হয়েছে। হয়রানী-লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন ৬৯ জন নারী-পুরুষ। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪২৭ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ৩৭ নারীকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৩ জন নারী। ধর্ষণের চেষ্টার পর আত্মহত্যা করে ১ জন নারী।
পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ২০৪ নারী। এর মধ্যে ১৪৪ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছে ৩০ নারী। যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১১২ নারী। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫২ জন। যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয় ৪৪ জন। ২৫ গৃহকর্মী বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয় এবং রহস্যজনক মৃত্যু হয় ৬ জনের।
এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষনসহ ৮৫৬ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ১৪৮ শিশু হত্যার শিকার হয়েছে, ৫৮ শিশু আত্মহত্যা করেছে, নিখোঁজের পর ৮ জন শিশু। হিন্দু স¤প্রদায়ের ৬টি বাসস্থানে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ, ২৮ টি প্রতিমা ভাংচুর, মন্দির ও পূজামন্ডপে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সীমান্তে বিএসএফ-এর শারীরিক নির্যাতনে ৩ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৯ জন, অপহরণের শিকার হয়েছে ৮ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।