Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

৬ এলাকাতেই বরাদ্দ ৩৫০ কোটি টাকা

ডিজিটাল ভূমি জরিপ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৮, ১২:০২ এএম

দেশের বর্তমান ভূমি ব্যবস্থাপনা তথা ভূমি জরিপ, ভূমি রেকর্ড প্রস্তুত, রেকর্ড সংরক্ষণে সমস্যার অন্ত নেই। এই অবস্থায় দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজেশনের চিন্তা করছে ভূমি অধিদফতর। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশে ছয় এলাকায় এটি বাস্তবায়ন করা হবে। আর এজন্য সাড়ে তিনশ কোটি টাকার প্রকল্প নিতে চায় অধিদফতর। সম্প্রতি এই প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে ৬টি অঞ্চলে ভূমি রেকর্ড ডিজিটালাইজড হবে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নাম রয়েছে। এছাড়া মানিকগঞ্জ পৌরসভা ও ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা এবং কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলাতেও বাস্তবায়িত হবে এই প্রকল্প।
এই সব অঞ্চলে প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৩৫১ কোটি ৮৬ লাখ ২২ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৭০ কোটি ৮২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা এবং কোরিয়ার সহযোগিতা সংস্থা ইডিসিএফ থেকে ২৮১ কোটি তিন লাখ ২৬ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে। এর মাধ্যমে ভূমি জরিপ, ম্যাপ ও খতিয়ান ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ভূমি মালিকদের মালিকানার অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডিজিটাল ভূমি সংক্রান্ত অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে বাংলাদেশের। এজন্য এই অর্থ দিয়ে ডিজিটাল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ১৯৩ জন ব্যাক্তিকে হায়ার (আউটসোর্সিং) করে আনা হবে। যাদের পেছনে ব্যয় হবে প্রায় ২৬ কোটি টাকা। দুই কোটি টাকায় কেনা হবে জিপ, পিকআপ, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল। অফিস সাজাতে ব্যয় হবে দেড় কোটি টাকা। এর বাইরে বড় অংকের বরাদ্দ রাথা হয়েছে সম্ভাব্য খরচে। এর মধ্যে প্রাইস কন্টিনজেন্সিতে ৩০ কোটি টাকা, ফিজিক্যাল কন্টিনজেন্সিতে সাড়ে ছয় কোটি টাকা। এর মানে হলো যদি জিনিসপত্রের দাম বাড়ে তাহলে এখান থেকে অর্থ ব্যয় করা যাবে।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ এন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এর মাধ্যমে দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা বাড়ানো সম্ভব হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ২২ জুন ইআরডি ও এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব কোরিয়ার মধ্যে ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। কিন্ত প্রকল্পটি নিতে দেরি হওয়ায় ঋণ চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ইআরডিতে চিঠি দেয়া হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে-প্রকল্প এলাকায় ডিজিটাল ক্যাডাস্ট্রাল ফিল্ড সার্ভে পরিচালনা, সার্ভে পরিচালনার জন্য ১৬০টি ইটিএস, ১৬০টি টোটাল সার্ভে সিস্টেম ও ১৬০টি পেন কম্পিউটার কেনা, ৩৯টি পারমানেন্ট সার্ভে মার্ক, ৪৩১টি ট্রি জংশন পয়েন্ট ও ৫০৫টি ট্রেভারস কন্ট্রোল পয়েন্ট স্থাপন; ক্যাডাস্ট্রাল ডাটাবেজ তৈরি, ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম স্থাপন, ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম স্থাপনের জন্য ২৩টি সার্ভার কম্পিউটার, ২১৫ সেট ল্যাপটপ, ২২ সেট ডেস্কটপ ও ২০ সেট স্মার্ট ট্যাব কেনা, প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্কিং যন্ত্রাংশ ও সফটওয়্যার কেনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ