পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহŸায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জনগণকে এখন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অতীতে সচেতন মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল ফলও পেয়েছিল। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে দেশের মালিকানা তারা ফিরে পাবে। তাছাড়া জনগণের অধিকার প্রকৃতপক্ষে ভোগ করতে হলে ঐক্যের প্রয়োজন আছে। তাই আসুন সবাই মিলে ঐকবদ্ধ হই। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে কনফারেন্স লাউন্স সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন, আন্তর্জাতিক পরিমÐলে মানবাধিকার ও সংঘাত নিরসন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহŸায়ক ড. কামাল হোসেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয় ‘ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি প্রদান করে। তারই প্রেক্ষিতে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহŸায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বাড়ির মালিক এখন বেদখল হয়ে আছে। স্বাধীন দেশে যে জনগণের তার মালিকানা হারিয়েছে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। বঙ্গবন্ধু স্বাক্ষরিত দলিলে সে সংবিধানে বলা আছে দেশের মালিক জনগণ। আর সংবিধানেই বলা আছে জনগণ সে মালিকানা ভোগ করতে পারবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। আমরা সংবিধানে স্বীকৃত দেশের মালিক। তাই জনগণকে দেশের মালিক হিসাবে গড়ার জন্য সেটা করতে হচ্ছে তা হল ঐক্য। জনগণ ঐকবদ্ধ হলে তারা তাদের মালিকনা বজায় রাখতে পারবে। দেশের মালিকনা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়াসহ গণতন্ত্র রক্ষা সম্ভব হবে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে। কারণ যখনই জাতীয় ঐকবদ্ধ হয়েছে তখনই অধিকার ও বিজয় অর্জন করা গেছে।
গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ট্রাস্টিবোর্ড চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জাতীর এমন সঙ্কটকালীন সময়ে ড.কামাল হোসেনকে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারণ তিনিই (ড.কামাল হোসেন) এখন বঙ্গবন্ধুর একমাত্র সর্বাপেক্ষা ঘনিষ্ট মানুষ। ড. কামাল হোসেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয় ‘ডক্টর অব ল’ পাওয়া প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তাকে বিমান বন্ধরে গিয়ে জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানাতেন। তিনি ড. কামাল হোসেনকে সব ধরণের বিভেদ ভুলে এসময়ে জাতীর পাশে দাড়াতে আহবান জানান। গণতন্ত্র উদ্ধারে ভূমিকা রাখতে অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে ডাকসু’র সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, গণফোরামের নির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী , সাবেক কুটনৈতিক মহিউদ্দিন আহমদ, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ.ব.ম মোস্তফা আমীন বক্তৃতা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।