Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৮, ১২:০৬ এএম

 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদ। গতকাল সোমবার সেনা সদর দপ্তরে সেনাপ্রধানের কক্ষে বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক তার উত্তরসূরির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
গত ১৮ জুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে আজিজ আহমেদকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল থেকে জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে ২৫ জুন থেকে দায়িত্ব নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এর আগে ২০১৬ সালের নভেম্বরে বিজিবির মহাপরিচালক থেকে পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জিওসি হন। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি তাকে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
তিনি অষ্টম বিএমএ দীর্ঘদেয়াদী কোর্স শেষে ১৯৮৩ সালের ১০ জুন সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশনপ্রাপ্ত হন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে জিএসও-৩ (অপারেশন), পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর, সেনাসদর প্রশিক্ষণ পরিদফতরের গ্রেড-২ এবং সেনাসদর, বেতন ও ভাতা পরিদফতরের গ্রেড-১ স্টাফ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একটি আর্টিলারি ইউনিট, একটি বিজিবি ব্যাটালিয়ন, বিজিবির একটি সেক্টর, স্বতন্ত্র এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেডসহ মোট দুটি আর্টিলারি ব্রিগেড এবং একটি পদাতিক ডিভিশন দক্ষতার সঙ্গে কমান্ড করেন।
আজিজ আহমেদ ১৯৬১ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১০ জুন ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হতে ৮ম দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সঙ্গে আর্টিলারি কোরে কমিশন লাভ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে মাস্টার ইন ডিফেন্স স্টাডিজ, এমএসসি (কারিগরি) এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে মাস্টার্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এক্সিকিউটিভ) ডিগ্রি অর্জন করেন।
বর্ণাঢ্য চাকরি জীবনে তিনি ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, বিজিবি’র মহাপরিচালক, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড ও সেনাসদরের কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি একটি আর্টিলারি রেজিমেন্টের অধিনায়ক, দুইটি আর্টিলারি ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার, একটি বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, একটি বিজিবি সেক্টরের কমান্ডার, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবজারভার হিসেবে ইরাক-কুয়েত এবং সুদানে ফোর্স কমান্ডারের মিলিটারি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। বিজিবি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিজিবি’র পুনর্গঠন ও উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পিজিবিএম পদকে ভূষিত করা হয়। তিনি গত ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ এ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে নিয়োজিত আছেন।###

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ