পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর গঠিত তত্ত¡াধায়ক সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তাব পেয়েও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বলে দাবি করেছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আলোচিত ওই সময়কার ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে মহিউদ্দিন আহমদের একটি প্রবন্ধের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে এই দাবি করেন তিনি। প্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নোবেলজয়ী ইউনূস বলেছেন, সেনা নিয়ন্ত্রিত ওই সরকারে দায়িত্ব না নেয়ার কারণ হিসেবে ‘কল্পনাপ্রসূত’ কথা লেখা হয়েছে মহিউদ্দিন আহমদের প্রবন্ধে। বিবৃতিতে ইউনূস বলেন, সেনাবাহিনীর প্রস্তাবে আমি কেন রাজি হইনি, এ বিষয়ে তারা যে কারণের কথা উল্লেখ করেছেন, তা একেবারে কল্পনা প্রসূত। একেবারে হদ্দ বোকা না হলে একজন অরাজনৈতিক বেসামরিক ব্যক্তি সেনাবাহিনীর নিকট তাকে দীর্ঘমেয়াদের জন্য একটি সরকারের প্রধানের পদে রাখার এরকম আবদার করার কথা চিন্তাই করতে পারবে না।
১৯৯৬ সালে বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ইউনূস জরুরি অবস্থার মধ্যে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন; তবে পরে পিছিয়ে যান।
২০০৬ সালে বিএনপির শাসনকাল অবসানের পর রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নিজেই তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার পর ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি; এরপর দায়িত্ব নেয় ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত¡াবধায়ক সরকার। ওই সরকার দুই বছর ক্ষমতায় ছিল; তারপর ২০০৮ সালের শেষে এসে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ফেরে বাংলাদেশে।
ইউনূসের বিবৃতি অনুযায়ী, ২০০৭ সালে জররুরি অবস্থা জারির আগের দিন ১০ জানুয়ারি বিকালে টেলিফোন করে তাকে দায়িত্ব নিতে বলেছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ। তিনি ‘না’ বলার পরও পরদিন তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এবং এ টি এম আমিন। ইউনূস বলেছেন, টেলিফোন করে তারা দেখা করতে আসতে চেয়েছিলেন। না করার উপায় ছিল না বলে তাদের সাক্ষাৎ দিয়েছিলেন তিনি। বিবৃতিতে ১০ জানুয়ারি ফোন পাওয়া থেকে শুরু করে তাকে রাজি করাতে’ চেষ্টা এবং কীভাবে তিনি অসম্মতি জানিয়েছিলেন, তা তুলে ধরেন ইউনূস।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।