Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোট দেয়ার কোন পরিবেশ নেই -রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০১৮, ১২:০১ এএম

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে জনগণ অবাধে পছন্দানুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে এমন কোন পরিবেশ দৃশ্যমান নয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে ভোট নিয়ে উদ্বেগ ও আশঙ্কা আরও গভীরতর হচ্ছে। গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
এখন পর্যন্ত যতটুকু খবর আমাদের নিকট এসেছে তাতে গাজীপুরে বাছাই করে করে দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে আমাদের বিশ^াস সকল বাধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে ভোটার’রা ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসবেন। ভোট যদি কিছুটা সুষ্ঠ‚ ও অবাধ হয় তাহলে ধানের শীষের বিজয় ঠেকাতে পারবে না। গতকাল (সোমবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় থাকতে পছন্দ করে না, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা থেকে সরে যেতেও পছন্দ করে না। এজন্য রাষ্ট্রের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দখলে রাখা প্রয়োজন মনে করে। সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে দলীয় চেতনার লোক নিয়োগ দিয়ে কর্তৃত্ব সম্প্রসারণের কাজটি সম্পন্ন করেছে আওয়ামী সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সিটি নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ম্যাসেজ নেই-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই উক্তিটিতে সেই প্রবাদটি মনে পড়ে-ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই নি। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সর্বত্র সরকারের ম্যাসেজ প্রতিপালিত হচ্ছে অক্ষরে অক্ষরে। প্রতিটি লোকালয়ে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরীর কাজ খুব সুচারুভাবেই চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পাইকারী হারে গ্রেফতার, বাসায় বাসায় তল্লাশী, বিভিন্ন কেন্দ্রে ধানের শীষের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দকে আটক, নতুন করে মিথ্যা মামলায় হয়রানী, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে আসা ডিবি পুলিশের হানাদারী আগ্রাসন, সরকারী দলের মেয়র, মন্ত্রী ও নেতাদের নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গসহ সর্বোপরি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পুলিশের গাড়ীতে করে প্রচারাভিযান ইত্যাদি ঘটনায় সরকারের ম্যাসেজটা কী তা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোটারদের বুঝতে বাকী নেই।
খুলনায় অনিয়ম হয়েছে নির্বাচন কমিশন তা স্বীকার করে নিয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, কয়েক দিন আগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন গাজীপুরে খুলনার ঘটনার পূণরাবৃত্তি ঘটবে না। তার মানে খুলনায় নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক কারচুপি ও ভোট সন্ত্রাসের যে অভিযোগ করা হয়েছে তাঁর বক্তব্যে সেটিই প্রমানিত হলো। এদিকে শুধু খুলনা মার্কা নয়, গাজীপুরে ভোট ডাকাতির সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়তে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ইসি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, রোববার রাতেও গাজীপুরে তাদের প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এছাড়া বরিশালের আগৈঝড়া উপজেলার বৈলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হেমায়েত হোসেন তালুকদারকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না দেওয়া, বান্দরবান জেলা সভাপতি মা ম্যাং চিং ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজাসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা দায়ের, কারাবন্দি অবস্থায় ‘নির্যাতনে’ ঢাকার বংশাল থানার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এরশাদ আলী লাডলার (৩৮) মৃত্যুর ঘটনার নিন্দা জানান রিজভী।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ