Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চিংড়ি রফতানিতে সরকারের আয় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা

| প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৮, ১০:৫৪ পিএম

স্টাফ রিপোর্টার : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ সংসদকে জানিয়েছেন, গত ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরে সাদা সোনাখ্যাত চিংড়ি মাছ রপ্তানী করে সরকারের তিন হাজার ৬৮২ কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে। এই পরিমাণ অর্থ আহরণের জন্য দেশ থেকে ৩৯ হাজার ৭০৬ মেট্রিন টন চিংড়ি রপ্তানি করতে হয়েছে।
গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকার দলীয় সদস্য বজলুল হক হারুণ। আওয়ামী লীগের সদস্য মাহফুজুর রহমানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ-বছরের মে পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে প্রায় ৩ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৬৩ হাজার ৭৩৪ মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বিদেশে থেকে চলতি অর্থ-বছরে বাংলাদেশ প্রায় ২১৫ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৪২ হাজার ৭১১ মেট্রিক টন মৎস্য আমদানি করেছে।সরকারি দলের আনোয়ারুল আজীম (আনার)-এর প্রশ্নের জবাবে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ জানান, মৎস্য সম্পদ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়াধীন মৎস্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করছে। তিনি আরো জানা, বাংলাদেশ মেরিন-ফিশারিজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রকল্প নিয়েছে। গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলায় মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, মানসম্মত মৎস্য বীজ ও পোনা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য স্থাপনা পুনর্বাসন ও উন্নয়ন প্রকল্প, সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট ইন বাংলাদেশ, স্বাদু পানির চিংড়ি চাষ স¤প্রসার প্রকল্প (২য় পর্যায়), রংপুর বিভাগে মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প, বৃহত্তর যশোর জেলায় মৎস্য চাষ উন্নয়ন প্রকল্প, ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা স¤প্রসার প্রকল্প (২য় পর্যায়), বৃহত্তর কুমিল্লা জেলায় মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প ও জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম দন্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে মৎস্য মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে দেশের ইলিশসহ মাছের বংশ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম কৌশল হচ্ছে, জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষা। প্রতি বছর আশ্বিন মাসের প্রথম উদিত পূর্ণিমার দিনসহ আগের ৪দিন ও পরের ১৭দিনসহ মোট ২২ দিন উপকুলীয় এলাকাসহ দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, বিক্রয় ও মজুদ নিষিদ্ধ রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সামদ্রিক এলাকায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও সামদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণের জন্য প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫দিন বঙ্গোপসাগরে সকল বাণিজ্যিক ট্রলার দ্বারা মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।



 

Show all comments
  • Bashar Ahmed ২৫ জুন, ২০১৮, ১:৩৯ পিএম says : 0
    কঠোর নজরদারি জরুরী
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ