পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বিশ্বের অন্যান্য দেশে সরকারের রাজস্ব আদায়ের প্রধান খাত আয়কর হলেও বাংলাদেশে এ চিত্র ভিন্ন। বাংলাদেশে এখনও রাজস্ব আদায়ের প্রধান খাত মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট। জনবল সংকট, সঠিক মনিটরিং না করা, দক্ষতা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবই এর জন্য দায়ী বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে ভোটের রাজনীতিতে আয়কর আদায়কে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীনরা কখনও সরাসরি ভোটারদের স্পর্শ করতে চায় না। এসব কারণে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না আয়কর খাত।
বর্তমান দশকে সরকারের রাজস্ব আদায়ের গড় প্রবৃদ্ধি ১৭ শতাংশের কিছু বেশি, যা গত চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। মোট রাজস্বের ৮৫ শতাংশই আদায় হয় এনবিআর নিয়ন্ত্রিত খাত থেকে। এনবি আর নিয়ন্ত্রিত খাতগুলোর মধ্যে মূলত আয়কর, আমদানি ও রফতানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক-এই চারটি খাত সরকারের রাজস্ব আদায়ের প্রধান খাত হলেও এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে ভ্যাট। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আয়কর খাত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ মনে বলেন, এনবিআরের সেই জনবল নেই যা দিয়ে তারা আয়করদাতার সংখ্যা বাড়াবে। এ ছাড়া তাদের দক্ষতাও নেই। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বারবারই বলা হচ্ছে এনবি আরের দক্ষতা বেড়েছে।
ট্যাক্সনেট বাড়াতে না পারলে আয়কর থেকে রাজস্ব তারা করতে পারবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে এনবিআর শর্টকার্ট পদ্ধতিতে রাজস্ব আদায়ের পথে চলে। যারা নিয়মিত ট্যাক্স দিচ্ছেন এনবি আর তাদের পেছনেই ছুটছে। ট্যাক্সনেট বাড়লে রাজস্ব বাড়বে বলে বিশ্বাস করেন ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ট্যাক্সনেট বাড়ানোর সহজ উপায় হচ্ছে নতুন করদাতা খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেওয়া। এক্ষেত্রে সব টিআইএনধারী অবশ্য ট্যাক্স দেয় না। তবে টিআইএনধারীর বাড়ি বাড়ি যাওয়ার তো দরকার নেই। এনআইডিতে সব ধরনের তথ্য আছে। তাই সেখান থেকেই তো টিআইনধারী ট্যাক্স দেওয়ার যোগ্য কিনা তা জানা যায়।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রামের একটি মুদি দোকানের মালিকও তার ব্যাবসা সম্প্রসারণের জন্য পাঁচ কোটি টাকা লোন নিচ্ছেন। তাই জেলা, উপজেলা এমনকি গ্রামের পর্যায়েও ট্যাক্স দেওয়া লোকের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু তারা সেখানে যাচ্ছে না।
২০১৭-১৮ অর্থবছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল দুই লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। পরবর্তীতে তা সংশোধিত বাজেটে পুনর্র্নিধারণ করা হয় দুই লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সংশোধিত বাজেটে আয়কর ও অন্যান্য খাতে ৭৮ হাজার কোটি টাকা এবং ভ্যাট খাতে টার্গেট ছিল ৮৩ হাজার কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে আয়কর খাতে ৬৫ হাজার ৯৩২ কোটি এবং মূল্য সংযোজন কর (মূসক) খাতে ৬৩ হাজার ৯০২ কোটি টাকা।
আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সরকারের মোট রাজস্ব আয়ের টার্গেট তিন লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভ্যাট। এ খাতে সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ১০ হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে ৩৭ দশমিক তিন শতাংশ। এর পরে যৌথভাবে আয়কর ও অন্যান্য প্রধান খাত থেকে সরকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করেছে ১ লাখ ২ হাজার ২০১ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে এ খাতের হার ৩৪ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।