Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাচ্ছেন কর্মকতারা

আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস

| প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৮, ১:০৪ এএম


পঞ্চায়েত হাবিব : প্রশাসনে ভালো কাজের জন্য সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতিবছরের মতো এবারো বিশেষ পদক দেবে সরকার। ব্যক্তিগত, দলগত ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক তিন ক্যাটাগরিতে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার দেয়া হবে। জাতীয় পর্যায়ে ব্যক্তিগত অবদানের জন্য সর্বোচ্চ ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণপদক এবং নগদ ১ লাখ টাকা, দলগত অবদানের জন্য স্বর্ণপদক ও নগদ ৫ লাখ টাকা এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শুধু পদক ও সম্মাননাপত্র দেয়া হবে। প্রতিবছরের মতো আজ শনিবার ২৩ জুন আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবসে জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠান করে এই পুরস্কার দেয়া হবে। স্বর্ণপদকের পাশাপাশি নগদ অর্থ ও সম্মাননাও দেয়া হবে। পদকপ্রাপ্তরা নিজের নামের শেষে সিভিল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড (সিএসএ) টাইটেল লিখতে পারবেন।
এদিকে আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বানী দিয়েছেন। বানীতে তারা বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ২৩ জুন ২০১৮ ‘আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বর্তমান সরকার স¦চ্ছ ও জবাবদিহিমূলক কর্মকাÐে বিশ্বাসী। জনপ্রশাসনকে জনমুখী ও সেবাবান্ধব করার জন্য সরকার অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সরকারের অন্যতম অঙ্গ হিসেবে নির্বাহী বিভাগ তথা জনপ্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার সরকারি কর্মচারীদের পেশাগত উৎকর্ষ লাভের লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বৃদ্ধি করছে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগ করে দেশের সর্বসাধারণের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের ভালো কাজের স¦ীকৃতি ও প্রণোদনা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা ‘জনপ্রশাসন পদক’ প্রবর্তন করেছি।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক ইনকিলাবকে বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সিভিল সার্ভিস পদক দেয়া আমাদের সরকার চালু করেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড মোজাম্মেল হক খান বলেন, সিভিল সার্ভিস পদক প্রদানের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচি নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন ভালো কাজের প্রশংসা করতে হয়। মন্দের তিরস্কার আর ভালোর পুরস্কার না থাকলে কাজের পার্থক্য থাকে না। সরকারের সব কাজ প্রশাসনের মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যন্ত সুচারুভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে তাদের প্রেরণা দিতেই সিভিল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পদ্ধতি চালু করেছে সরকার। ব্যক্তিগত, দলগত ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক তিন ক্যাটাগরিতে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার দেয়া হবে। জাতীয় পর্যায়ে ব্যক্তিগত অবদানের জন্য সর্বোচ্চ ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণপদক এবং নগদ ১ লাখ টাকা, দলগত অবদানের জন্য স্বর্ণপদক ও নগদ ৫ লাখ টাকা এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শুধু পদক ও সম্মাননাপত্র দেয়া হবে। ব্যক্তিগত ও দলগত পুরস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর, পরিদফতর, দফতর, সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবে। সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানে পুরস্কারের প্রথা আগে থেকে চালু আছে সেই সব প্রতিষ্ঠান সিভিল সার্ভিস পদক পাবে না। জেলা পর্যায়ে সামাজিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক ক্ষেত্রে তিনটি করে মোট ছয়টি পুরস্কার দেয়া হবে। জেলা পর্যায়ে দলগত অবদানের জন্য নগদ ১ লাখ এবং সম্মাননা এবং ব্যক্তিগত অবদানের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা ও সম্মাননা দেয়া হবে। দলগত সদস্যদের মধ্যে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে বণ্টন হয়। দলের সদস্য পাঁচজনের বেশি হলে তা সদস্যদের মধ্যে সমহারে বণ্টন করতে হয়।পুরস্কার দেয়ার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বছরের ক্যালেন্ডার অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ের কার্যক্রম বিবেচনায় নেয়া হয়। প্রতি বছর ৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেরুয়ারির মধ্যে আবেদন আহ্বান করতে হয়। জেলা পর্যায়ে বাছাই শেষে ১০ জুনের মধ্যে জেলা পর্যায়ের পদকের জন্য মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। জাতীয় পর্যায়ে অ্যাওয়ার্ডের জন্য ৩০ মে মনোনয়ন চূড়ান্ত করাহয়। পুরস্কার ঘোষণা করা হবে ২৩ জুন।
জাতীয় পর্যায়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি পদকের আবেদন বাছাই ও মূল্যায়ন করে পদকের জন্য মনোনয়ন করা হয়। কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অর্থ, শিক্ষা, স্থানীয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, কৃষি, তথ্য, পরিবেশ ও বন সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সরকারের মনোনীত তিনজন প্রতিনিধি সদস্য থাকবেন। সদস্য সচিব হিসেবে জনপ্রশাসন সচিব দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও জেলা পর্যায়ে ডিসি, একজন প্রকৌশলী, আইটি বিশেষজ্ঞ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং বিভাগীয় পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনার, সংস্থায় সংস্থা প্রধান, মন্ত্রণালয়ে সচিবরা এ বিষয়ে মূল্যায়ন করেন। প্রতি বছর ২১ মের মধ্যে জাতীয় কমিটির সুপারিশ করা ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়ে থাকে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ