পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ক্ষমতাসীনরা শেষ পর্যন্ত সংলাপে আসতে ‘বাধ্য হবে’। সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন সংলাপের কোনো প্রয়োজন নাই। সংলাপের প্রয়োজন আপনারা বোধ করবেন। সময় এলে অবশ্যই সংলাপে আসতে এই সরকার বাধ্য হবে। এটা সময়ের ব্যাপার। এটা এখন বলা যাবে না
সকালে ধানমন্তিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা আবারও নাকচ করে বলেন, ‘কোনো প্রয়োজন তো দেখছি না। গতবার তারা সেই ট্রেন মিস করেছে। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ডেকেছেন। বেগম জিয়ার প্রত্যাখ্যানের ভাষাটা এখনো কানে বাজে।’ কাদেরের বক্তব্যের জবাবে মওদুদ আহমদ বলেন, তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপি থাকার কোনো সুযোগ নাই। আমরা কী তা বলছি? আমরা কী দরখাস্ত করেছি? ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এসব অবান্তর কথা কেন বলেন। কোনো প্রয়োজন নেই এসব কথা বলার। যখন আন্দোলনের মুখে যখন সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, সেই অবস্থার প্রেক্ষাপটেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেখানে সংলাপ হতে পারে, সংলাপ ছাড়াও সমস্যার সমাধান হতে পারে। এটা নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপরে।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহŸান জানিয়ে মওদুদ বলেন, আমাদের সামনের আজ বড় চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন সফল করার জন্য আমাদের সবাইকে এক হতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ছয় মাস বাকি থাকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে মওদুদ বলেন, যদি আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই, সত্যিকার অর্থে একটি নির্বাচন করতে চাই, তাহলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। এটা হবে অন্যতম শর্ত। সেই সঙ্গে নির্বাচনের ৯০ দিনে আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া, ম্যাজেস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও তুলে ধরেন মওদুদ।
২০ দলীয় জোটের শরিক জাগপার মরহুম সভাপতি শফিউল আলম প্রধান ও ইসলামিক পার্টির মরহুম চেয়ারম্যান আবদুল মোবিনের স্মরণে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে আদর্শ নাগরিক আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।
সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার লুৎফর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ হিল মাসুদ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।