Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঋণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করবে বিসিক

| প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৮, ১০:১২ পিএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের বিকাশে উদ্যোক্তাদের মধ্যে ঋণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে চায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। একই সঙ্গে এই করপোরেশনের আওতায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পাশাপাশি মাঝারি ও মাইক্রো শিল্প অন্তর্ভুক্ত করবে সংস্থাটি।
সম্প্রতি বিসিকের উদ্যোগে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন আইন ২০১৮ খসড়ায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। বর্তমানে ১৯৫৭ সালের বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন আইন রয়েছে। এই আইন রহিত করে যুগোপযোগী আইন পুনঃপ্রণয়ন করা হচ্ছে। এতে ৬১ বছরের পুরনো এ আইনের নানা বিষয়ে পরিবর্তন আসছে। এ আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সংশ্নিষ্টদের মতামত চেয়েছে বিসিক। আইনের খসড়া অনুযায়ী, বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল ও উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে করপোরেশনের আওতায় ক্ষুদ্র, মাঝারি, মাইক্রো ও কুটির শিল্প সম্পর্কিত সরকারের শিল্পনীতি বাস্তবায়ন করবে বিসিক। বর্তমানে কেবল ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কপোরেশনের আওতায় রয়েছে। আইন পাস হলে এ দুটি শিল্পসহ মাঝারি ও মাইক্রো শিল্পের উন্নয়নের জন্য যেমন প্রয়োজন মনে করবে তেমন সহায়তা দিতে পদক্ষেপ নেবে রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থা। এসব কার্যক্রমের মধ্যে উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনে ঋণ দেওয়া হবে। করপোরেশন মঞ্জুরি হিসেবে ঋণ দিতে পারবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক বা অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করবে। করপোরেশনের দেওয়া ঋণের সুদের হার সরকার নির্ধারণ করবে। একজন ব্যক্তিকে জামানতবিহীন এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সুযোগ থাকবে। এ বিষয়ে বিসিকের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে বিসিকের নিজস্ব তহবিল থেকে উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া হচ্ছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৫ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়। গত দুই অর্থবছরে বিসিকের জেলা শিল্প সহায়ক কেন্দ্রের মাধ্যমে এ ঋণ দেওয়া হয়েছে। ১০ শতাংশ সরল সুদে স্থায়ী ও চলতি মূলধনের জন্য ঋণ দেওয়া হয়। এখন সীমিত আকারে ঋণ দেওয়া হলেও আইন পাসের পরে এই ঋণ কার্যক্রম বাড়াতে চায় বিসিক। তা ছাড়া আগে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া হতো। মাঝারি শিল্প অন্তর্ভুক্ত হলে আরও বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়ার প্রয়োজন হবে। এ জন্য বিসিকের তহবিল বাড়াতে বৈদেশিক ঋণ, অনুদান, বিসিকের নিজস্ব আয় থেকে অর্থায়নসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ জন্য আইনে অনেক পরিবর্তন করে বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ