পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : নিরাপত্তা ইস্যুতে পোশাকখাতের কারখানাগুলোর সংস্কার কাজ আগামী ডিসেম্বরেরর মধ্যে সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি বলেছেন, কারখনার সংস্কার নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিভাবে চাপ রয়েছে। তাই সংস্কার কাজ নির্ধারিত সময়, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই মালিকদের শেষ করতে হবে। নতুবা আমরা কারাখানাগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত ‘গার্মেন্টস শিল্পের সংস্কার প্রক্রিয়ায় জাতীয় উদ্যোগ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব আফরোজা খান, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ বিভিন্ন পোশাক কারখানার মালিক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা যেহেতু করতে হবে ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করেন। আমরা রুঢ় আচরণ করতে চাই না। ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ না হলে জানুয়ারি থেকে আমরা ফ্যাক্টরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেব।
কারখানা মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যাদের এখনও নিজস্ব ভবন নেই, তারা তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নিজস্ব ভবনে চলে যাবেন। আমরা কিভাবে বুঝবো আপনারা সরকারের শর্ত পূরণ করেছেন। এজন্য যে ২৬টি ফার্ম আছে তাদের দিয়ে অডিট করাবেন। তারা সার্টিফিকেট দিলে আমরা ভেবে নেবো আপনারা শর্ত পূরণ করেছেন। তবে ফার্মের কেউ যদি অনৈতিক কোনো শর্ত দেয়, আমরা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবো।
সভায় জানানো হয়, রানা প্লাজা ধসের পর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগে দেশের পোশাক খাতের কারখানাগুলোর মূল্যায়ন শুরু হয়। দেশের পোশাক খাতে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে জাতীয় উদ্যোগ, ইউরোপীয় ক্রেতাজোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ও উত্তর আমেরিকাভিত্তিক সংস্থা অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি পৃথকভাবে মোট তিন হাজার ৭৮০টি পোশাক কারখানা মূল্যায়ন করছে। কারখানাগুলোর প্রাথমিক মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, জাতীয় উদ্যোগের এক হাজার ৫৪৯টি কারখানার সংস্কার কার্যক্রম মনিটরিং করছে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি)। এক হাজার ৫৪৯টি কারখানার মধ্যে ৫৭৩টি বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে সংস্কার কার্যক্রম মনিটরিং করা হচ্ছে এরূপ কারখানার সংখ্য ৭৫৫টি।
এখন পর্যন্ত এসব কারখানার সংস্কার কাজের অগ্রগতি ৩২ শতাংশ। নিজস্ব ভবনে অবস্থিত ৩৩২টি কারখানার সংস্কার কাজের অগ্রগতি ৩৮ শতাংশ, ভাড়া ভবনে অবস্থিত ৪২৩টি কারখানার সংস্কার কাজের অগ্রগতি ২৭ শতাংশ। তবে ৭৫৫টি কারখানার মধ্যে ১৬৫টি কারখানা এখন পর্যন্ত সংস্কার কারর্যক্রম শুরু করেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।