পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) রাখার বাধ্যবধকতায় ছাড় দেওয়া হয়েছে তফশিলি ব্যাংকগুলোকে। এখন থেকে গ্রাহকের পক্ষে সংগ্রহ করা বিল ও গ্যারান্টি প্রদানের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে আর তার মুনাফা থেকে প্রভিশনিং করতে হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ২০১২ সালের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে উল্লেখিত দুই অফ ব্যালেন্স শিট এই দুই সূচকের বিপরীতে প্রভিশন রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নতুন নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অফ ব্যালেন্স শিট উপাদান (সূচক) হিসেবে গ্রাহকের হয়ে বিল সংগ্রহ এবং কোন গ্রাহকের হয়ে ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদানে ব্যাংকগুলোকে এক শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হয়। তবে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, গ্রাহকের হয়ে বিল সংগ্রহে ব্যর্থতা ব্যাংকগুলোর কোন ব্যর্থতা নয়। কোন গ্রাহক বিল প্রদানে ব্যর্থ হলে তার দায় ব্যাংক কে নিতে হচ্ছে না। তাই এই বিপরীতে প্রভিশন রাখার দরকার নেই। একই ভাবে ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতেও প্রভিশন শর্ত শিথিল করা হলো। কারণ একক কোন ব্যাংক গ্রাহকের গ্যারান্টি থাকে না। এক ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলো গ্যারান্টিও দিচ্ছে একই গ্রাহককে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য মতে, প্রভিশন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে ১২টি ব্যাংক। এর মধ্যে ৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক। আর ৮টি হচ্ছে বেসরকারি খাতের ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোর কারণে সার্বিক ভাবে ব্যাংকিং খাতে প্রভিশন ঘাটতি দাড়িয়েছে ৭ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) শেষে ব্যাংকিং খাতে প্রভিশন প্রয়োজনীয় প্রভিশন দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। বিপরীতে ব্যাংকগুলো রেখেছে ৪১ হাজার ২৮০ কোটি টাকা।
২০১৭ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে প্রভিশন ঘাটতি (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) দাঁড়ায় ৯ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। ওই সময় ৯ ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ছিলো। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমানতকারিদের সুরক্ষা দিতে ঋণের শ্রেণিমান বিবেচনা করে ব্যাংকগুলোকে নির্ধারিত হারে প্রভিশন রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। সাধারণ ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রভিশন রাখতে হয়। নিম্নমান ঋণের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ ঋণে শতভাগ প্রভিশন রাখতে হয়। ব্যাংকগুলোকে অর্জিত মুনাফা থেকে এ প্রভিশনিং করতে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।