Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্বকাপ চলাকালে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ডিসেম্বরেই শতভাগ গ্রামে যাবে

| প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে সারাদেশে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা জানান। তিনি আরো জানান, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ গ্রামে বিদ্যুৎ যাবে। সরকারী দলের সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা বেশী থাকায় সাধারণত বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকে না। তবে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এয়ারকন্ডিশনার ও ফ্যান লোড বেড়ে যাওয়ায়, সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্কের সীমাবদ্ধতা, গ্যাস সরবরাহের অপ্রতুলতা এবং রক্ষণাবেক্ষন কাজের জন্য মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। এই অবস্থায় বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সামগ্রিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা মনিটারিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন এলাকায় ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌছানো হয়েছে। অবশিষ্ট ১০ শতাংশ গ্রামে বিদ্যুতায়ন কাজ চলমান আছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ গ্রামে বিদ্যুৎতায়ন সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার সবার জন্য বিদ্যুৎ’ নিশ্চিত করতে ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানীর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জ্বালানী বহুমূখীকরণ (দেশীয় ও আমদানিকৃত কয়লা, গ্যাস ও এলএনজি, তরল জ্বালানী) ও বিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য সফুরা বেগমের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সারাদেশে বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন লাইনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সদস্য মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মসজিদসমূহে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের কোন ব্যবস্থা আপাততঃ নেই। তবে নিয়মিত আয়ের উৎসবিহীন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তালিকাভ‚ক্ত মসজিদসমূহে মাসিক ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল সরকার কর্তৃক পরিশোধ করা হয়।
গৃহস্থলিতে এলপি গ্যাস ব্যবহার সরকারী দলের সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার গৃহস্থলিতে এলপি গ্যাস ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে। এজন্য শিল্প-কারখানায় সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারকে উৎসাহিত করে গৃহস্থলিতে পাইপ লাইনে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কোন পরিকল্পনা সরকারের নেই। তরীকত ফেডারেশনের এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ সংসদকে জানান, উৎপাদনরত গ্যাস ক্ষেত্রসমূহের উৎপাদন ধরে রাখতে এবং গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পেট্রোবাংলাসহ দেশ ও বিদেশী গ্যাস উৎপাদন কোম্পানিসমূগ সবসময় গ্যাসক্ষেত্রের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে গবেষণা ও সমীক্ষা পরিচালনা করে থাকে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। মআওয়ামী লীগের এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে আমদানিকৃত অপরিশোধিত ও পরিশোধিত জ্বালানী তেল খালাস কার্যক্রম আরো সহজ, দ্রæত, সুষ্ঠু ও ব্যয় সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান জেটি হিসেবে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) স্থাপনে চীনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে এসপিএম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ