Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংসদে প্রশ্নোত্তরে তথ্যমন্ত্রী -৮৩ শতাংশ দর্শক বিটিভি দেখেন

| প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন, বেসরকারী টিভি চ্যানেল চালু হওয়ার কারণে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)’র দর্শক কমেছে এমন চিন্তার কারণ নেই। এখনো দেশের টেলিভিশন দর্শকের ৮৩ শতাংশ বিটিভি দেখেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত এ প্রশ্নটি উত্থাপন করেন স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুল মতিন। জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, এখনো দর্শকদের কাছে বিটিভিই সব থেকে সমাদৃত চ্যানেল। অন্য যে কোনও সময়ের চেয়ে বিটিভি এখন জনমুখী ও দর্শকনন্দিত অনুষ্ঠান স¤প্রচার করে যাচ্ছে। পুরনো অনেক অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে সময়োপযোগী অনেকগুলো অনুষ্ঠান প্রচার করছে। এতে করে দর্শকদের জনপ্রিয়তা পূর্বের থেকে আরো বেড়েছে।
সরকারী দলের সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, যেহেতু বিটিভি একটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাই এটি দেশের ১৬ কোটি মানুষের চেতনার কণ্ঠস্বর এবং দায়বদ্ধ। তাই বিটিভি দর্শকদের হালকা বিনোদন নির্ভর রুচিকে অনুসরণ করে না। এখানে রুচিশীল অনুষ্ঠান প্রচারে জোর দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ বেতারে প্রথম শ্রেণীর ২৫৬ পদ শূন্য রয়েছে। ২৫৬টি পদের মধ্যে একশোটি পদের চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় শ্রেণীর ৭৭টি পদ, তৃতীয় শ্রেণীর ১৩৯টি পদ এবং ৪র্থ শ্রেণীর ৭৪টি পদ শুন্য আছে বলে জানান তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনে গ্রেড-২ থেকে গ্রেড ২০-এর রাজস্বখাতভুক্ত স্থায়ী অনুমোদিত পদ সংখ্যা এক হাজার ৬০২টি ও শুন্য পদ ৪৫৭টি। অনুমোদিত স্থায়ী পদ ছাড়াও রাজস্বখাতভুক্ত অস্থায়ী পদ সংখ্যা ১২১টি। এখানে শুন্য পদ ৬৩ টি বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। সরকারী দলের বজলুল হক হারুণের প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক ইনু জানান, ২০১৬ সালে শিল্পী ও কলাকুশলীদের সম্মানী অনেকাংশে বাড়ান হয়েছে। সেটি আরো বাড়ানোর পরিকল্পণাও রয়েছে। এছাড়া প্রতিবছর মানসম্মত চলচিত্র ও গুণী শিল্পীদের অজীবন সম্মাণনাসহ জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে। সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বাঙালী ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ এবং উন্নতমানের চলচিত্র নির্মাণে উৎসাহিত করতে পূর্ণ দৈর্ঘ ও স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচিত্র নির্মাণে প্রতিবছর অনুদান বাড়ানো হচ্ছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছর হতে এ অনুদানের পরিমান ৩৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ লাখ টাকা করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, দক্ষ চলচিত্র নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ চলচিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে ৫৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প চলমান আছে। এছাড়া সাভারে কবিরপুরে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি নির্মাণের কাজ চলছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ