পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, দেশের উপকুলীয় অঞ্চলের দূর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে গত এক দশকে চারটি প্রকল্পে এক হাজার ৬০০ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান।
অধিবেশনে এসংক্রান্ত এ প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারী দলের সদস্য দিদারুল আলম। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, সিডর উত্তর দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংক ‘ইমারজেন্সি সাইক্লোন রিকভারী এÐ রেস্টরেশন প্রজেক্টে ৩০৫ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ডলার ঋণ। যা শুরু হয় ২০০৮ সালে এবং আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। এর অগ্রগতির হার ৯৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। দ্বিতীয়ত:-‘এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম ফর দা পুয়োরেস্ট’ শীর্ষক প্রকল্পে ১৫০ মিলিয়ন ডলার, যার ২০১১ সালে শুরু হয় এবং ২০১৪ সালের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। তৃতীয়ত: সেফটি নেট সিস্টেম ফর দা পুয়োরেস্ট প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংক ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে, যা শেষ হবে ২০১৯ সালের ৩০জন। এ প্রকল্পের অগ্রগতি ৮৯ শতাংশ, আবার এর এডিশনাল প্রকল্পে পূণরায় ২৪৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে, যার অগ্রগতি ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। শেষ প্রকল্পটি হলো ‘কোস্টাল এমবার্কিং ইমপ্রæভমেন্ট প্রজেক্ট, ফেস-১ এ ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে, যা জুন ২০২০ সালে শেষ হবে। এর অগ্রগতি ১৯ শতাংশ বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
সরকারি দলের বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, বিশ্বব্যাংক ‘লো-ইনকাম কমিউনিটি হাউজিং সাপোর্ট’ প্রকল্পে সোয়া ৪শ’ কোটি টাকার সমপরিমাণ ৫০ মিলিয়ন ডলার বা ৫ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। ২০১৬ সালের ৩০ জুন বিশ্বব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের এ সংক্রান্ত ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই প্রকল্পের আওতায় দু’টি সিটি কর্পোরেশন ও একটি পৌরসভা এলাকার ১৯টি কমিউনিটিতে দরিদ্র বস্তিবাসীদের জন্য আবাসন সুবিধা তৈরিতে সহায়তা, বিদ্যুৎ পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ প্রভৃতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বস্তিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। জাতীয় পার্টির সদস্য সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালের পহেলা জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ৭৩৩টি চুক্তি হয়েছে। এরমধ্যে ২৬৩টি ঋণ চুক্তি এবং ৪৭০টি অনুদান চুক্তি। এসব চুক্তির সাথে জড়িত অর্থের পরিমাণ ৫৫ হাজার ৬৮৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে ঋণ ৫০ হাজার ৩৬১ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও অনুদান ৫ হাজার ৩২২ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।