পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মো. দেলোয়ার হোসেন, গাজীপুর থেকে : প্রচারণায় সময় কম থাকায় সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাঠে প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। গণসংযোগ, পথসভার মাধ্যমে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন তারা। আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে বিএনপি প্রার্থীকের স্থানীয় প্রশানের ওপর আস্থা রাখার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে আহসান উল্লা মাস্টারের খুনির পরিবার যেন লুটপাটের জন্য সিটিতে না আসতে পারে সেজন্য ভোটারদের প্রতি আহবান জানান।
জাহাঙ্গীর আলম বুধবার সিটি করপোরেশনের ৫০ নং ওয়ার্ডের গাজীপুরা এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেন। পথসভায় তিনি উন্নয়নের স্বার্থে বিএনপিসহ সকল দলের সমর্থন ও ভোট প্রত্যাশা করেন। এসময় তিনি আদালতের মাধ্যমে স্বীকৃত আহসান উল্লাহ মাস্টারের খুনি পরিবার যেন আবার লুটপাটের জন্য সিটি করপোরেশনে আসতে না পারে সেজন্য ভোটারদের প্রতি আহবান জানান। একই সঙ্গে সেনা মোতায়েনে বিএনপির দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বিএনপি প্রার্থীকের স্থানীয় প্রশানের ওপর আস্থা রাখার পরামর্শ দেন। পরে তিনি টঙ্গীর এরশাদ নগরসহ আশাপাশের এলাকায় দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করেন। মহানগরীর ৫০ নম্বর ওয়ার্ড গাজীপুরায় পথসভার মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেন। পরে ৪৯, ৪৮, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের এরশাদ নগরে ৩টি, হোসেন মার্কেটের সামনে, বণমালা হাউজ বিল্ডিং, নোয়াগাঁও এলাকায় পথসভা এবং গণসংযোগ করেন। দুপুরে ৪৭, ৪৪, ৪৩, ৪৫, ৫৬, ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড এর টি এন্ড টি বাজার, আমতলী মোড়, পাগাড়, সালাউদ্দিন গাজীর মার্কেটের সামনে, মধুমিতা রোড রেল লাইন ও মফিজ কমিশনার রোডে পথসভা ও প্রচারণা চালান।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতি লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সকল অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। তাছাড়া মহাজোট শরিক জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দও প্রচারণা চালান। পথসভায় মহানগর সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক নম্বর এজেন্ট মোঃ আজমত উল্লাহ খান, সাবেক এমপি কাজী মোজাম্মেল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুল হক, মোঃ মতিউর রহমান মতি, মোঃ রজব আলী, কাজী ইলিয়াস আহমেদ জাতীয় পার্টির থানা সভাপতি মোঃ বজলুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, আহসান উল্লাহ মাস্টারের খুনির ভাই বিএনপি প্রার্থীকে টঙ্গী-গাজীপুরের মানুষ ভোটে প্রত্যাখান করে জবাব দেবে। পৌর মেয়র, সংসদ সদস্য হয়ে এরশাদ নগরে গরীবের দোকান দখল করেছে। খুনি পরিবারর সদস্য, দখলবাজকে ভোটের মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে। বক্তারা আগামী ২৬ তারিখ পর্যন্ত ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাওয়ার অঙ্গিকার করেন। তারা আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জাহাঙ্গীরকে জয়যুক্ত করার আহŸান জানান।
তাছাড়া বেলা ৩ টায় তিনি জয়দেবপুর বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে আয়োজিত নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। মতবিনিময়ে তিনি বলেন, সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে বেকায়দায় ফেলানোর জন্য তারা নিজেরাই ইস্যু তৈরী করে মিডিয়ায় প্রচার করে। তিনি নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। মেয়র প্রার্থী হিসাবে এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনকে শতভাগ সহযোগীতা করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা শাহাজাদা মহিউদ্দিন, বলরাম পোদ্দার প্রার্থীর সাথে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় নেতা অসীম কুমার উকিল, এস এম কামাল, গোলাম মোস্তফা কাজল, মহানগর নেতা মহিউদ্দিন মহি প্রচারণা চালান। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্তাভাজন তরুণ্যের প্রতিক জাহাঙ্গীরের পক্ষে, নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।