Inqilab Logo

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ই-নথি ব্যবস্থাপনায় শীর্ষে এনপিও

| প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ-টু-আই প্রকল্পের মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি ১ থেকে ১৫ জুন মেয়াদে দেশের ২০৩টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও দপ্তরের মধ্যে ই-নথি ব্যবস্থাপনায় শীর্ষস্থানে অবস্থান করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও)। এর পাশাপাশি খোদ শিল্প মন্ত্রণালয় ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে ই-নথি ব্যবস্থাপনায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ধারাবাহিক মনিটরিংয়ের ও মানসিক প্রণোদনার ফলে মন্ত্রণালয়ের ই-নথি ব্যবস্থাপনায় এ সাফল্য এসেছে। এর ফলে মন্ত্রণালয়ের সেবাদান প্রক্রিয়া গতিশীল হয়েছে এবং কাজের পরিমাণ বেড়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গতকাল বুধবার এ তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্রধান অতিথি ছিলেন। শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে সাবেক শিল্পসচিব কে. এইচ মাসুদ সিদ্দিকী ও সাবেক রেল সচিব মনসুর আলী সিকদারসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল কর্পোরেশন ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শিল্পমন্ত্রীর নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট অংশীজনকে দ্রæত ও জবাবদিহিমূলক সেবা দিতে কাজ করছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে শিল্পসচিবের তত্ত¡াবধানে মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন সকল প্রতিষ্ঠানকে ই-নথির আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম’ এর নামে অতীতে সেবাদানের ক্ষেত্রে যে ধরনের দীর্ঘসূত্রিতা ও হয়রানি ছিল, এখন তার কোনো প্রভাব নেই। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয় আরো গতিশীল ভূমিকা রাখবে বলে সভায় আশা প্রকাশ করা হয়। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিকে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য একটি অঙ্গীকারনামা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এতে স্বাক্ষরের ফলে সংশ্লিষ্ট সকলে নির্দিষ্ট কর্মসূচি বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। এর মাধ্যমে সকলের মধ্যে দায়বদ্ধতা তৈরি হবে এবং আগামী এক বছরে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্মকান্ডে আশাতীত সাফল্য আসবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনমুখি কর্মকাÐের পাশাপাশি মানুষের জীবন রক্ষা ও মানব সেবামূলক কার্যক্রমের সাথে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠানগুলো জড়িত। বিসিআইসি যেমন সার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে, তেমনি বিএসটিআই নির্মাণ সামগ্রী ও খাদ্য পণ্যের গুণগতমান রক্ষা করে মানুষের জীবনের সুরক্ষা দিচ্ছে। তিনি বিএসটিআই এর মান নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জরিমানা আদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে মানুষের সুরক্ষা ও মানবসেবার দিকগুলোর প্রতি অগ্রাধিকার দেয়ার পরামর্শ দেন। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæত প্রকল্পগুলো দ্রæত বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিনি সরকারের শিল্পায়ন ও সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রাকে এগিয়ে নেয়ার আহবান জানান।
পরে শিল্পমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শিল্পসচিবের সাথে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিসিক, বিএসটিআই, বিসিআইসি, বিএসইসি, বিএসএফআইসি, বিআইএম, ডিপিডিটি, বিটাক, এনপিও, বিএবি, প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রধানরা পৃথকভাবে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ