প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর: এ বিষয়টি আপনার চারপাশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার বিচারে বৈধ, অপচয় বা গোনাহ সবই হতে পারে। আপনি যদি নিজের ফরজ দায়িত্ব, যাকাত, সাদাকাহ, গরীবের হক সব ঠিকঠাক পালনের পর সহনীয় অর্থ ব্যয়ে পশু-পাখি পালন করেন, তাহলে এটি সরাসরি অবৈধ নয়। তবে ইসলামে প্রয়োজন ছাড়া কোনো পশু বা পাখিকে আটকে রাখা পছন্দনীয় নয়। কোনো পশু-পাখির বাচ্চাকে তার মা থেকে আলাদা করতে আল্লাহর রাসুল সা. নিষেধ করেছেন। একবার এক ব্যক্তি পাখির বাচ্চা ধরে নিয়ে এলে তিনি তাকে সেটি দ্রæত তার বাসায় রেখে এসে পাখির মায়ের অস্থিরতা দূর করার হুকুম দেন। বর্তমানে দেখা যায়, নানা দেশের সরকারও পশু-পাখি রক্ষার আইন করেছে। এসবকে বিরক্ত করা, আটকে রাখা বেআইনি। সবদিক বিবেচনা করে শখ পূরণ করা উচিত। অনেক মানুষ ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানা বা পশু-পাখি সংগ্রহের নামে লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করে। যা নিঃসন্দেহে অপচয়। এসব ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভেদে উপযুক্ত মাসআলা আলেমদের কাছে জেনে নেওয়া অপরিহার্য। শুধু পালনের উদ্দেশ্যে রাখা পশু-পাখির যাকাত নেই। তবে বিক্রি বা লাভের উদ্দেশ্যে রাখা পশু-পাখির বর্তমান বাজার মূল্য ধরে যাকাত দিতে হবে।
সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন: আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।