পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, দেশের মোট বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৬ লাখ হেক্টর। এই পর্যন্ত ২ লাখ ৬৮ হাজার একর সরকারি বনভূমি অবৈধ দখলে চলে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হওয়ার পর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়। মন্ত্রী বলেন, বহু আগ থেকেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরকারি বনাঞ্চলের নিকটবর্তী জনগণের চাষাবাদ, বসতি স্থাপন, রাস্তাঘাট নির্মাণ ইত্যাদি কারণে বনভূমি জবরদখল হয়েছে। পরবর্তীতে শিল্পায়ন, নগরায়ন, পাকা, পাকা সড়ক নির্মাণ, হাট বাজার স্থাপন ইত্যাদি কারণে বনভূমি বেদখল হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বনভূমির মোট পরিমাণ ৬৩ লাখ ৬৯ হাজার একর। এর মধ্যে ৪৬ লাখ ৫২ হাজার মন্ত্রণালয়ের গেজেটভুক্ত, যা দেশের মোট আয়তনের ১২ শতাংশ। জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানান, বর্তমানে সারাদেশে মোট আবাদযোগ্য কৃষি জমির পরিমাণ ৮৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৬ দশমিক ৫৫ হেক্টর। মোট সেচকৃত জমির পরিমাণ ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার ১০০ দশমিক ০৩ সেক্টর। অর্থাৎ সেচের আওতায় জমির পরিমাণ শতকরা প্রায় ৮৭ শতাংশ। আর বাকি ১৩ শতাংশ জমি সেচের আওতার বাইরে। সরকারি দলের আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী আনিসুল জানান বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী চলতি বছরের মে পর্যন্ত দেশে মোট ইটভাটার সংখ্যা ৬ হাজার ৮০৭টি। এর মধ্যে ৫ হাজার ৫৭টি ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে। বাকি এক হাজার ৭৫০টির ছাড়পত্র নেই। মহিলা এমপি বেগম সানজিদা খানমের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আগামী ৫ বছরে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশের বনভূমি ২৪ শতাংশে উন্নীত করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নতুন জেগে ওঠা চর বনায়ন, দেশের উপকূলজুড়ে বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী নির্মাণ, সড়ক ও বাঁধের পাশে ও রেল লাইনের পাশে বনায়ন সৃজন করা, সরকারি- বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর আঙিনায় বনায়ন ও সব স্তরের জনগণকে নিজস্ব পতিত জমিতে বনায়নের জন্য উৎসাহিত করার কাজ চলমান রয়েছে। হাজেরা খাতুনের এক প্রশ্নের জবাবে বনমন্ত্রী জানান, বন অধিদফতরের অধীনে মোট ২৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে ১৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এর মাধ্যমে ১৮ হাজার ৬ শত ৯৭৮ হেক্টর বøক বাগান, ২ হাজার ৭১৭ কি. মি. স্ট্রিপ বাগান, বিক্রয় ও বিতরণসহ অন্যান্য চারা রোপন করা হয়েছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ১৩ হাজারটি। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট রাজস্ব বাজেট থেকে ৩ হাজার ২ শত কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।