Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জুন মাসে প্রতিদিন দেড় হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে এনবিআর’র

| প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৪৫ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা আদায় করতে হবে। এটা করতে পারলে আলোচ্য অর্থবছরে এনবিআরের ২ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের সংশোধিত লক্ষ্য অর্জিত হবে। তবে এই লক্ষ্য অর্জনে জুন মাসে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা আদায় করতে হবে। সেটি না হলে সংশোধিত বাজেটে অর্থের সরবরাহে টান পড়বে। এনবিআর অবশ্য কখনোই এক মাসে ৪৫ হাজার কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায় করতে পারেনি। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬ কোটি টাকা। এই সময়ে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১১ মাসে রাজস্ব আয়ে ঘাটতি হয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। কিন্তু লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় না হওয়ায় তা সংশোধন করে ২ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।
কয়েক বছর ধরেই এনবিআরকে বছরের শুরু থেকেই বিশাল লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে হয়েছে। এ বছরও রাজস্ব লক্ষ্য থেকে ক্রমেই পিছিয়েছে এনবিআর। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে এখন মাসে নয়, দিনের হিসাবেই দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি শুল্ক-কর আদায় করতে হবে সংস্থাটিকে।
চলতি অর্থবছরে ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এমন অবস্থায় আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যের চেয়ে ৭১ হাজার কোটি টাকা বা ৩০ শতাংশ বেশি।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, প্রতিবছর এনবিআরের লক্ষ্য বৃদ্ধি করা হয়েছে, কিন্তু সেই অনুযায়ী আইন যুগোপযোগী করা হয়নি। এখন রাজস্ব আদায়ে যে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, তা মূলত অর্থনীতির আকার এবং উৎসে কর বৃদ্ধির কারণে। এতে এনবিআরের খুব বেশি সৃজনশীলতা নেই।
আবদুল মজিদের মতে, যদি রাজস্ব খাতে সংস্কার হতো, তাহলে রাজস্ব আদায় আরও বাড়ত। অর্থনীতির সেই সক্ষমতা আছে। কিন্তু ২০১৩ সালে ভ্যাট আইন পাস হলেও এখনো তা চালু করা যায়নি। বহুদিন ধরেই প্রত্যক্ষ কর আইনের খসড়া করা হচ্ছে। শুল্ক আইনও সংসদে উত্থাপন করা হচ্ছে না। এ যুগোপযোগী আইনগুলো বাস্তবায়ন করা উচিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ