Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অভিন্ন মানদÐ নির্ধারণ করছে সার্ক

--বিস্কুট, চিনি ও দুগ্ধজাত পণ্য---

| প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : প্রথমবারের মতো বিস্কুট, পরিশোধিত চিনি ও দুগ্ধজাত পণ্যের একটি অভিন্ন মানদন্ড নির্ধারণে সম্মত হয়েছে ভারত ও এর প্রতিবেশী দেশগুলো। অভিন্ন মানদন্ড নির্ধারণ করা হলে সীমান্তে পণ্যগুলো পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পাবে। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ায় এসব পণ্যের আমদানি-রফতানি বাড়বে।
অভিন্ন মানদন্ডটি সাউথ এশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের মতো সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশনের (সার্ক) মধ্যে বৃহত্তর অংশীদারিত্বের জন্য একটি নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ভারত ছাড়াও সার্কের সদস্য হিসেবে রয়েছে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপ।
বাণিজ্য ব্যয় ও অশুল্ক বাধা কমাতে সার্ক এরই মধ্যে বিস্কুট ও পরিশোধিত চিনির প্যাকেজিং, মার্কিং, লেবেলিং ও স্যাম্পলিং-সংক্রান্ত শর্ত চূড়ান্ত করেছে। বিস্কুট ও পরিশোধিত চিনির ভৌত ও মাইক্রোবায়োলজিক্যাল শর্ত ছাড়াও সাউথ এশিয়ান রিজিওনাল স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন (সারসো) দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও হ্যান্ডলিংয়ের মানদন্ড নির্ধারণ করেছে। বিষয়-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সারসো তিনটি পণ্যের নিয়ন্ত্রণমূলক মান নির্ধারণ করেছে। এ আঞ্চলিক মানদন্ড সার্কভুক্ত দেশগুলোর সীমান্তজুড়ে পণ্য বাণিজ্যে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভারত সার্ক অংশীদারদের কাছে প্রায় দুই হাজার ২৯০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময় দেশগুলোর কাছ থেকে ৩২০ কোটি ডলার সমমূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।
সীমান্ত দিয়ে পণ্য বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সাধারণত রফতানিকারক দেশের কাছে পণ্যের সনদ দাবি করে থাকে আমদানিকারক দেশগুলো। গ্রহণযোগ্য স্বীকৃতির মাধ্যমে মানদন্ডের সমন্বয় এসব ক্ষেত্রে সীমান্ত পয়েন্টগুলোয় পণ্য পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করবে। বর্তমানে একটি সদস্য দেশের মানদন্ড নির্ধারক সংস্থার প্রত্যয়ন বাকি সদস্য দেশকে মেনে নিতে হয়।
সার্ক অভিন্ন মানদন্ড নির্ধারণের জন্য বেশকিছু খাত নির্দিষ্ট করেছে। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য ও কৃষিপণ্য; পাট, বস্ত্র ও চামড়া; ভবন নির্মাণসামগ্রী, রাসায়নিক ও রাসায়নিক পণ্য এবং ইলেকর্টিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস পণ্য। এ বিষয়ে অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, সার্ক অঞ্চলের ক্ষেত্রে কৃষি ও খাদ্যপণ্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এবারই প্রথম এসব খাতের জন্য মানদন্ড নির্ধারণ করা হচ্ছে।
যদি কিছু দেশ সংস্থার নির্ধারিত মানদন্ডের চেয়ে ভিন্ন মানদন্ড ব্যবহার করে থাকে, তবে স্বতন্ত্র দেশগুলোকে আঞ্চলিক মানদন্ড বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে হবে। এক কর্মকর্তা জানান, স্বতন্ত্র দেশগুলোর মানদন্ড সংস্থার মান অনুসরণ করছে কিনা, এখন আমাদের তা পরীক্ষা করে দেখার প্রয়োজন পড়বে না। কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক দেশের নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অভিন্ন মানদন্ডগুলো অবস্থিত করতে হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ