পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঈদুল ফিতরের তিনদিন ছুটি শেষে গতকাল খুলেছে সরকারি অফিসগুলো। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকার মতো প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়েও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির অর্ধেকেরও কম। এখনো অনেক কর্মকর্তা বাড়িতে রয়েছেন। প্রথম কর্মদিবস সচিবালয়ে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে।
এই সপ্তাহে উপস্থিতি কমই থাকবে বলে মনে করছেন কর্মচারীরা। তারা জানান, আগামী সপ্তাহের আগে পরিস্থিতি খুব একটা বদলাবে না। গতকাল সোমবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা যায়, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব, কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা এসেছেন, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে সময় কাটছে তাদের। সচিবালয়ের বারান্দা, সিঁড়ি, লিফট সব স্থানেই চলছে শুভেচ্ছা বিনিময়। চার নম্বর ভবনের লিফটম্যান বলেন, সোমবার গেইট পাস দেয়া হয়নি। তাই বহিরাগতও আসছে না। এদিকে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সচিবালয়ে এসে মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
সচিবালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসনের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা সচিবালয়ে এসেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ের বারান্দা, সিঁড়ি, লিফট, সবত্রই ঈদ চলছে শুভেচ্ছা বিনিময়। একে অপরকে দেখা মাত্রই বুকে জড়িয়ে নিচ্ছেন। ভেদাভেদ নেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও। সারাদেশে গত শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে গত শুক্র, শনি ও রোববার তিন দিন সরকারি ছুটি ছিল। এবার ঈদের ছুটিতে দুটি সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্র ও শনিবার) থাকায় বাড়তি ছুটি হিসেবে ছিল মাত্র একদিন রোববার। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ইনকিলাবকে জানান, এবার ঈদের ছুটি তিনদিন থাকায় দূর-দূরান্তে গ্রামের বাড়ি ঈদ পালন করতে যাওয়া হয়নি। তবে অনেকেই আজ অফিসে যোগ দেবেন না। তারা আরও দু’একদিন ছুটি নিয়েছেন। এছাড়া অনেকে পথে রয়েছেন। অনেকে দুপুরের দিকে এসেও অফিসে যোগ দেবেন।
ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ৫০ শতাংশের মতো। সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বন পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য অধিদফতর, ভূমি মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার কক্ষ তালাবদ্ধ অবস্থায়ই রয়েছে। অনেক কক্ষে চেয়ার-টেবিল ফাঁকা পড়ে রয়েছে। আবার যারা এসেছেন তাদের কাজে-কর্মেও অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাব। উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মূলত পারস্পরিক খোঁজ-খবর ও শুভেচ্ছা বিনিময়েই ব্যস্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।