পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : শরীর থেকে ঝরে পড়া অণুজীবের ভিত্তিতে অপরাধীকে শনাক্ত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন এক দল গবেষক। শরীরের ত্বক বা চামড়া এবং নাক থেকে এ সব অণুজীব ঝরে পড়ে অপরাধ যেখানে সংগঠিত হয় সেখানে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের মারসেলে অবস্থিত অ্যারগনে ন্যাশনাল ল্যাবের জার্ড হ্যাম্পটন প্রথম এ ভাবে অপরাধী শনাক্ত করার কথা বলেছিলেন। তিনি এবং তার গবেষক সহকর্মীরা ২০১৪ সালে দেখিয়েছিলেন, প্রতিটি মানুষের আঙ্গুলের ছাপে যেমন একক বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে; তেমনি বৈশিষ্ট্য থাকে তার শরীর থেকে ঝরে পড়া অণুজীবেও। আঙ্গুলের ছাপের ভিত্তিতে যেমন ব্যক্তি বিশেষকে শনাক্ত করা যায়। তেমনি এ সব অণুজীবের উপস্থিতির ভিত্তিতেও কোনো মানুষকে শনাক্ত করা সম্ভব।
পরবর্তীতে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে তার নেতৃত্বাধীন গবেষক দলটি কয়েকটি ‹চুরির› ঘটনা সাজান। এতে অংশ নেন কয়েকজন স্বেচ্ছাকর্মী। ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা অণুজীবের ভিত্তিতে পরবর্তীতে তারা শনাক্ত করতে পারেন কোন কোন স্বেচ্ছাসেবক কোন ধরণের চুরিতে› অংশ নিয়েছেন। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবক। গবেষকরা তাদের এ পরীক্ষা চালানোর সময় ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। গত সপ্তাহের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় অনুষ্ঠিত এএসএম মাইক্রোব সম্মেলনে এ পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আজ(রোববার) প্রকাশিত বিজ্ঞান সাময়িকী সাপ্তাহিক নিউ সায়েন্টিস জানিয়েছেন, এ প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে অপরাধী শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ সফলতা অর্জনের চেষ্টা করছে গবেষক দলটি।
অবশ্য, পাশাপাশি গবেষক দলটি বলছে, ডিএনএ নমুনা এবং আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে ৭০ শতাংশও সাফল্যের বিষয়টিও অপরাধী শনাক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।