Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

| প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম


ইনকিলাব ডেস্ক : ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া ট্রাফিক পুলিশের তৎকালীন সার্জেন্ট এবং বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার ট্রাফিক পুলিশের পেট্রোল ইন্সপেক্টর (পিআই) হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। গত রোববার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ফেনীর রামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কেরণখাল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আমির আলী ভূঁইয়া মাস্টারের ছেলে।
ফেনী জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মীর গোলাম ফারুক জানান, গত রোববার প্রাইভেটকার (চট্ট-মেট্রো-গ-১১-৫১৪১) চালিয়ে চট্টগ্রামে কর্মস্থলের উদ্দেশে যাওয়ার সময় ফেনী জেলার রামপুর এলাকায় তার গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লেগে ছিটকে গিয়ে আরও একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ওই প্রাইভেটকারের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সোমবার ওই হাসপাতালে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তবে টিআই হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়ার পরিবার এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাÐ উল্লেখ করে জানায়, ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়ার পর তৎকালীন সরকার তাকে হয়রানিমূলক বদলিসহ মানসিকভাবে নির্যাতন করেছিল। ওই সময় তাকে হত্যার হুমকিও আসতো বলে তারা দাবি করেন।
তার পরিবার ও স্বজনদের দাবি, এটি সড়ক দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাÐ। তারা সরকারের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন। চান্দিনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শামছুল ইসলাম জানান, সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহতের ময়নাতদন্ত করার পর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানার ঘাটে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে ১০ ট্রাক অস্ত্র খালাসের সময় ঘটনাস্থলে প্রথম উপস্থিত হন তৎকালীন সার্জেন্ট ও কয়লার ডিপো ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন ভূঁইয়া। পরে তার মাধ্যমে খবর পেয়ে অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদুর রহমান বাদী হয়ে চোলাচালান ও অস্ত্র আইনে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় আদালত সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী এবং বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদÐ ও পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অস্ত্র আইনের মামলায় তাদের সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ