পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক বৈঠকে একটি ‘ক¤িপ্রহেন্সিভ ডকুমেন্টে’ স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার চেয়ারম্যান কিম জং উন। এর আগে তারা উত্তেজনা প্রশমন ও পারমাণবিক নিরস্ত্রিকরণ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, আলোচনা নিয়ে উভয় পক্ষই অত্যন্ত সন্তুষ্ট। গতকাল মঙ্গলবার বৈঠকের ফাঁকে এক অনুষ্ঠানে দুই নেতা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এই চুক্তিকে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ ও ‘ব্যাপক’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, চুক্তিতে স্বাক্ষর করে তিনি ও কিম দু’জনেই সম্মানিত বোধ করছেন। আর কিম এটাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করবে। চুক্তি স্বাক্ষরের আগে দুই দফা বৈঠক করেন ট্রাম্প ও কিম। প্রথম দফায় কিমের সঙ্গে একান্তে আধা ঘন্টারও বেশি সময় আলোচনা করেন। এরপর সাংবাদিকদের সামনে হাজির হন। এতে ট্রাম্প বলেন, দারুণ বৈঠক হয়েছে। আমাদের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। যে কারো প্রত্যাশার চেয়েও ভালো আলোচনা হয়েছে। এসময় ট্রাম্প জানান, দু’দেশ একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এর পরেই দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়। সেখানে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প ও কিম।
‘ক¤িপ্রহেন্সিভ ডকুমেন্টে’র প্রধান পয়েন্টগুলো-
১. যুক্তরাষ্ট্র ও ডিপিআরকে (ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া) শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশের জনগণের আকাঙ্খানুযায়ী নতুন ইউএস-ডিপিআরকে সম্পর্ক স্থাপনে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ থাকবে।
২. কোরীয় উপদ্বীপে দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী শান্তির শাসন প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র ও ডিপিআরকে তাদের উদ্যোগ যুক্ত করবে।
৩. চলতি বছরের ২৭ এপ্রিলের পানমুনজোম ঘোষণা পুনর্নিশ্চিত করে কোরীয় উপদ্বীপকে পুরোপুরি পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করতে ডিপিআরকে এর প্রতিশ্রæতি।
এই যৌথ ঘোষণায় দুই নেতা স্বাক্ষর করার পর ট্রাম্প তার প্রতিক্রিয়ায় এটিকে ‘ব্যাপক’ বলে বর্ণনা করেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা দু’জনেই চাই কিছু করতে, আমরা দু’জনেই কিছু করতে যাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর গত ১৮ মাসে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার সঙ্গে তার সম্পর্কের উত্থান-পতনের সাক্ষী হয়েছে বিশ্ব। প্রথম দিকে একে অপরকে চূড়ান্ত অপমান করে যুদ্ধের হুমকি দিলেও সা¤প্রতিক মাসগুলোতে দু’জনের মধ্যে উষ্ণতার আবহ গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় এ সম্মেলন। এতে বৈরিতার পরিবর্তে জেগে উঠেছে শান্তির আশা। সূত্র : বিবিসি
ট্রাম্প-কিম চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে চীন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে বৈঠক ও চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। চুক্তি সইয়ের আগে চীনের স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই সাংবাদিকদের বলেন, তিনি আশা করছেন দু দেশ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের মতো মৌলিক ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবেন।
চীনের স্টেট কাউন্সিলর বলেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে ঐকমত্য হলেও উত্তর কোরিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গ্যারান্টি থাকতে হবে।
এর আগে, মর্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেন এবং তারপরই চুক্তিতে সই করেছেন। ট্রাম্প এ চুক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, আশা করা হচ্ছে খুব শিগগিরি কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। চুক্তিতে উত্তর কোরিয়ার পরিপূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। সূত্র : আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।