পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেলা হোটেলে ঐতিহাসিক বৈঠক শেষে সিঙ্গাপুরের রাজধানীতে ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। বৈঠকে তারা একটি যৌথ চুক্তিপত্রে সই করেছেন। বৈঠকের পর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকাল চারটার দিকে সিঙ্গাপুর সিটিতে সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, অত্যন্ত ঘটনাবহুল ২৪ ঘন্টা পার করলাম আমরা। সত্যি বলতে ঘটনাবহুল তিনটি মাস পার হলো।
উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, অবিশ্বাস্য একটি জায়গা হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করার সম্ভাবনা আছে তাদের। ট্রাম্প বলেন, ‘পরিবর্তন আসলেই সম্ভব। চেয়ারম্যান কিমের সঙ্গে আমার বৈঠক আন্তরিক, গঠনম‚লক আর খোলামেলা ছিল।’
তিনি বলেন, কিম ইতোমধ্যে প্রধান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র ধ্বংস করছেন।’ তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত তাদের ঘোষণাপত্রে নেই। ঘোষণাপত্র তৈরি হওয়ার পর দুই নেতা এ বিষয়ে একমত হন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা যখন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে সম্প‚র্ণ নিশ্চিত হতে পারব তখনই উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।’ ‘আমি আসলে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চাই’- বলেন ট্রাম্প। তবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে এই পদক্ষেপ নিতে চান না তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘কিম খুবই প্রতিভাবান। তিনি খুব কম বয়সে একটি দেশের ক্ষমতা নেন ও কঠোরভাবে দেশটি পরিচালনা করছেন।’
ট্রাম্প জানিয়েছেন, স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্রের শর্ত অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র এখনই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে নেবে না। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা যৌথ সামরিক মহড়া দেয়া বন্ধ করবে তারা। নিয়মিত এসব সামরিক মহড়ার কারণে ক্ষুব্ধ ছিল উত্তর কোরিয়া।
কিমের সঙ্গে ‘অপেক্ষাকৃত সংক্ষেপে’ মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়ায় যুদ্ধবন্দী মার্কিন সেনা সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আজকে এ বিষয়ে আমি জিজ্ঞেস করেছি এবং আশানুরূপ উত্তর পেয়েছি।’
ট্রাম্প বলেছেন কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হওয়া বাদে ‘আমরা কোনো কিছুতেই ছাড় দেইনি।’
তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র ট্রাম্পকে যারা অপছন্দ করেন তারাই বলবেন যে আমরা অনেক বড় কোনো প্রতিশ্রুতি করেছি।’ তবে অনেক বিশ্লেষকই মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষীয় বৈঠক উত্তর কোরিয়ার জন্য ক‚টনৈতিক বিজয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।