পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, মাদকের সঙ্গে সঙ্গে মানব পাচার আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের দেশের মেগা প্রোজেক্ট পদ্মা ব্রিজ কাদের টাকায় হচ্ছে? আমাদের এই শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্সের টাকায়। আমরা বছরে ১৪-১৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাই। এতগুলো মানুষ ফিরে আসে কত টাকা সঙ্গে নিয়ে? যেই টাকা পায়, সেই টাকায় চাকরি তো আমরা এখানেই দিতে পারি। এসব বিষয় সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। শুধু নারী শ্রকিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পাঠাতে হবে। গতকাল মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে এ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় গৃহকর্মী হিসেবে সউদী আরবে নারীদের পাঠানোর চেয়ে দেশেই তাদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা সম্ভব বলে মত প্রকাশ করেন লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের সুযোগ আছে, আমরা সম্মানের সঙ্গে তাদের চাকরিতে নেব। আমাদের দেশের নারীরা গৃহকর্মী হিসেবে সউদী আরব যাবে না। আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরি দেবো।
এর আগে অনুষ্ঠানে সউদী ফেরত ২২ জন নির্যাতিত নারীকে ১ লাখ টাকা করে এককালীন অনুদান দেওয়া হয়। ৫০জন নারী শ্রমিককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির নিশ্চয়তার লক্ষ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে ব্র্যাক এবং লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের একটা সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়ে গেছে, আমরা তা অস্বীকার করতে পারবো না। পত্রপত্রিকায় এই নারীদের দুঃখগাথা পড়ে একটা প্রশ্নই মাথায় আসে। তা হলো মানুষ কিভাবে এতো দানব হতে পারে। এই দুঃখ করে এখন কি হবে? এখন আর শোক করে লাভ নেই, কিছু একটা করতে হবে। আমাদের দেশে ৫ কোটির মতো শ্রমিক রয়েছে। এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ সবার সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। আমি তাদেরকেও আহŸান জানাবো। আমাদের উদ্যোগ দেখে সরকার বলবে তারা করে দেখিয়েছে, আমরা কেন পারবো না? আমাদের অনুরোধ গৃহকর্মী হিসেবে সউদী আরবে নারীদের পাঠাবেন না। ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরিফুল হাসান বলেন, এয়ারপোর্টে মধ্যরাতে ফিরে আসে বিদেশে কর্মরত আমাদের এই মেয়েরা। তাদের যাওয়ার কোনও জায়গা থাকে না। দুঃসহ অবস্থার এমন বর্ণনা তারা দেয় যে আপনারা রাতে ঘুমাতে পারবেন না। আমি আমার বাসার মেয়েটাকে সউদী আরব পাঠাবো না, তাহলে এদেরকে কেন পাঠাচ্ছি? আমাদের মন্ত্রী সচিবরা কেন সউদী আরবের সুরে কথা বলে? কিছু করতে না পারুক অন্তত এই মেয়েগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে বলতে তো পারে আমরা দুঃখিত। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।