Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পাতাল রেল বিমানবন্দর থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত

| প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

০ মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও রুট আগামী বছরই চালু হচ্ছে
০ বিআরটিসিতে লোকসান ৪৭৩ কোটি টাকা
স্টাফ রিপোর্টার : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে ও বৃহত্তর ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থাকে সুষ্ঠু, পরিকল্পিত, সমন্বিত ও আধুনিকায়ন কারার লক্ষ্যে মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এই মেগা প্রকল্পটি পাঁচটি রুটের মাধ্যমে নগরবাসীর সেবা দেবে। এছাড়া বিমানবন্দর থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত প্রথম পাতালরেল নির্মাণ করা হবে। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য বেগম পিনু খান ও মমতাজ বেগমের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের (২০১৯ সাল) মধ্যেই উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রেরেল চালু হবে। ২০২০ সালের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রকল্পটি দ্রæত সম্পাদনের জন্য ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। টার্গেট মোতাবেক রাজধানীবাসী মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পের অধীনে বর্তমানে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ এর কাজ ৮টি প্যাকেজের আওতায় চলছে। তাছাড়া আরও দু’টি এমআরটি লাইন-১ এবং এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য সমীক্ষার কাজ চলছে। এই প্রকল্পে উত্তরা ৩য় পর্ব থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আংশিক চালু হবে ২০১৯ সালে এবং উত্তরা ৩য় পর্ব থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত চালু হবে ২০২০ সালে।
সংসদে মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, এমআরটি লাইন-১ নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলমান আছে। বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের জন্য ২০১৭ সালের ২৯ জুন জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশে প্রথম পাতাল রেল নির্মিত হতে যাচ্ছে, যার রুট হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-খিলক্ষেত-কুড়িল-যমুনা ফিউচার পার্ক-বাড্ডা-রামপুরা-মালিবাগ-রাজারবাগ-কমলাপুর এবং কুড়িল থেকে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পার্শ্ব পর্যন্ত। এর মোট দৈর্ঘ্য হবে ২৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার। এমআরটি লাইন-১ এর জন্য স্টেশন থাকবে ১৭টি। বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, কুড়িল, নর্দা (যুমনা ফিউচার পার্ক), নতুন বাজার, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ, কমলাপুর, কুড়িল, বসুন্ধরা, মাস্তল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার ও পূর্বাচল টার্মিনালে স্টেশন থাকবে। মন্ত্রী জানান, এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণের জন্যও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। এর (উত্তরাংশ) দৈর্ঘ্য হবে ১৯ দশমিক ৬ কিলোমিটার (এলিভেটেড ৬ কিলোমিটার ও আন্ডারগ্রাউন্ড ১৩ দশমিক ৬০ কিলোমিটার)। রুট হবে হেমায়েতপুর-গাবতলী- টেকনিক্যাল-মিরপুর-১-মিরপুর-১০-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান-ভাটারা এবং গাবতলী-ধানমন্ডি-বসুন্ধরা সিটি-হাতিরঝিল-লিংকরোড পর্যন্ত। তিনি বলেন, এ রুট মোট স্টেশন থাকবে ১৪টি। এছাড়া এমআরটি লাইন-৫ (দক্ষিণাংশ) রুট হবে-গাবতলী-ধানমন্ডি-পান্থপথ-হাতিরঝিল-লিংক রোড-নগরপাড়া। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে।
বিআরটিসিতে এক বছরে লোকসান
৪৭৩ কোটি টাকা
সরকারদলীয় সদস্য সেলিম উদ্দিনের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, জাতীয় স্কেল, ২০১৫ বাস্তবায়নের আগে বিআরটিসি অপারেটিং লাভে ছিল। কিন্তু পরবর্তী নতুন পে- স্কেল বাস্তবায়নের ফলে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৭৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, পে-স্কেল-২০১৫ বাস্তবায়নের ফলে বিআরটিসির বেতন-ভাতা পূর্বের তুলনায় প্রতিমাসে ২ দশমিক ৮ কোটি টাকা বেড়েছে। মন্ত্রী বলেন, ‘পে-স্কেল বাস্তবায়নের ফলে সরকার থেকে বিআরটিসি বকেয়া বেতন-ভাতা এবং গ্র্যাচুইটি খাতে ২১ কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণ পেয়েছে। ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট এর আওতায় বিআরটিসির জন্য ৪০০টি বাস, ৫০০টি ট্রাক কেনার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। এছাড়া শিগগিরই আরও ২০০ টি এসি বাস কেনার দরপত্র আহŸবান করা হবে। মন্ত্রী বলেন, চালকসহ বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন এবং ডিপোগুলোতে স্বচ্ছলতা আনার জন্য ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ