পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও প্রযুক্তি, যোগাযোগ, কৃষি, পরিবেশসহ বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা কানে শুনতে না পাওয়ায় তাঁরা কথাও বলতে পারে না। এসব শিশুদের বাবা ও মায়েরা কোনোদিন তাঁদের প্রিয় সন্তানের মুখে মা ও বাবা ডাক শুনতে পায় না। তবে আশার কথা হলো, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক সদিচ্ছা ও সহযোগিতা এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন কর্মসূচী কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বর্তমানে দেশের শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা কানে শুনতে ও কথা বলতে পারছে। ফলে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুসহ শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা বোঝা না থেকে দেশ ও সমাজের সম্পদ ও জনশক্তিতে পরিণত হচ্ছে। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র বা ডিভাইস, এর প্রতিটির মূল্য ক্ষেত্র বিশেষে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা। পবিত্র রমজান মাসে ১২১ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুকে প্রায় ১২ কোটি টাকা মূল্যের কানের শোনার কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস বিনামূল্যে প্রদান করা হলো। এটা আসন্ন পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে দেশের শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদের বিশেষ উপহার। তিনি বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারির পর শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা যাতে আরো সুন্দরভাবে ভাষা শিখতে পারে সেজন্য অডিওলজি বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স চালু এবং নাক কান গলা বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগসহ সকল ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা প্রদান করা হবে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট বরাদ্দপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, ডা. সাহানা আখতার রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট বরাদ্দ কমিটির সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম-এর কর্মসূচী পরিচালক প্রফেসর ডা. মোঃ আবুল হাসনাত জোয়ারদার।
ডা. মোঃ আবুল হাসনাত জোয়ারদার বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইসের প্রতিটির মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। সে হিসাবে ১২১ শিশুর জন্য প্রায় ১২ কোটি টাকা মূল্যের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইস বিনামূল্যে প্রদান করা হলো। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইস প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচারের খরচ ও শিশুর কথা শেখানোর জন্য স্পিচ থেরাপির খরচ বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে। প্রকৃতপক্ষে, কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসাসেবা। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া যা শুধু বাংলাদেশেও নয় উন্নত দেশেও অনেকের পক্ষে বহন করা সম্ভব না। তিনি জানান, ইতোমধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২০৩ জনকে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট-এর বরাদ্দপত্র প্রদান করা হয়েছে। এই ১২১ জনকে নিয়ে মোট ৩২৪ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুকে বরাদ্দপত্র প্রদান করা হলো। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ২৯ জনের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইস প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, যাঁরা নিজেরাই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেছে। সব মিলিয়ে ৩৫৩ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুকে এই সেবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যাঁদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ২২৮ জনের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইস প্রতিস্থাপন বা কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি করা সম্ভব হয়েছে এবং তাঁদের কথা বলা শেখানো হচ্ছে ও এক্ষেত্রে চিকিৎসাসেবা ও কথা শেখানোর ক্ষেত্রে সফলতার হার শতভাগ। সরকারী ব্যয়ে ইমপ্লান্ট পাওয়া ২০৩ জন এর মধ্যে ১৯৯ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে সার্জারী করা হয়েছে। এ কর্মসূচীর পাশাপাশি পরিবারের নিজ খরচে ইমপ্লান্ট ক্রয় করা ২৯ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে সফলভাবে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারী করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।