Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা

| প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ অবস্থানে ভবিষ্যতে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা আছে সরকারের। গতকাল সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে মোট ৫৩ হাজার ৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার কথা জানানোর সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একথা জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ অর্ধেকের বেশি শেষ হয়েছে। চলমান আছে দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু নির্মাণের কাজ। গলাচিপা, পায়রা ও কচা নদীর উপর সেতু নির্মাণ এবং পাটুরিয়া গোয়ালন্দ অবস্থানে ভবিষ্যতে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এবং ২০২২ সাল নাগাদ এর কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সরাসরি চলাচলের সুযোগ তৈরির জন্য ঢাকা ইস্টওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটি এশিয়ান হাইওয়ের সাথে যুক্ত থাকবে। নগর পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমানে বেশ কয়েকটি কার্যক্রম চলমান আছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, হজরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে গাজীপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও উভয়দিকে ২৫ হাজার যাত্রী পরিবহনে সক্ষম বাস র‌্যাপিট ট্রানজিটের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। উত্তরা তৃতীয় ফেইজ হতে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত নির্মাণাধীন বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ পূর্ণ উদ্যমে চলছে। ২০২০ সালের মধ্যে মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ শেষ করার আশা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু করব। অর্থমন্ত্রী বলেন, বৃহত্তর ঢাকার জন্য নিউ ইয়র্কের আদলে একটি মেট্রো যোগাযোগ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাপূর্বক সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সমন্বিত করে একটি একক পরিচালনা সংগঠন স্থাপন করা যথাযথ হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবহৃত ভূমির উপর পিপিপি’র আওতায় শপিং মল, ফাইভ স্টার হোটেল, মেডিকেল কলেজ নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০১৯ সালের মধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজ সংগ্রহ ও ২টি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিমানে আমরা যথেষ্ট বিনিয়োগ করে চলেছি, কিন্তু বিমান এখনো তেমন ভালো সেবাদান করতে সক্ষম হয়ে উঠতে পারেনি। তিনি বলেন, বিমানকে সরকারি সংস্থার পরিবর্তে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার উদ্যোগটি আমার মনে হয় এ প্রেক্ষাপটে অপরিহার্য।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ