পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জনপ্রশাসনের কার্যক্রমকে যুগোপযোগি ও গতিশীল করতে পূর্বের লাল ফিতায় বাঁধা কাগজের নথির পরিবর্তে ইলেকট্টনিক নথি চালু করা হয়েছে। এতে জনপ্রশাসনে স্বচ্ছতা, গতিশীলতা ও জবাবদিহীতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন (এসিআর) সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে বার্ষিক কর্মমূল্যায়ন প্রতিবেদন (এপিএআর) পদ্ধতি প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এ পদ্ধতি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি জানান, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার। এর ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে সারাদেশে বহুমুখী ডিজিটাল কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে সরকারের অনেক সেবাধর্মী কাজ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে এবং জনগণ এর সুফল ভোগ করছে। জনপ্রশাসনের কার্যক্রমকেও যুগোপযোগী এবং ডিজিটালাইজড করার জন্য বর্তমানে সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।
মন্ত্রী জানান, বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সকল কর্মকর্তা ও অন্যান্য ক্যাডারের উপসচিব ও তদুর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের চাকরি ও ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কিত ডাটাবেজ (পিএমআইএস) আধুনিকায়ন করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের পদায়ন, পদোন্নতিতে এই ডাটাবেজের বহুল ব্যবহার হয়েছে। বর্তমানে সকল ক্যাডার কর্মকর্তাদের এই পিএমআইএসের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানান, দাফতরিক যোগাযোগ দক্ষতা ও গতিশীলতার সঙ্গে করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অফিশিয়াল ডেজিগনেটেড ইমেইল এ্যাড্রেস প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া অনলাইনে ফেসবুকের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের বাংলা বানান ও প্রমিত বাংলা ব্যবহারে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি জানান, সরকার এক্সেস টু ইনফরমেশন প্রকল্পের মাধ্যমে নানাবিধ সফটওয়্যার উন্নয়ন করে বাস্তবায়ন করছে যা জনপ্রশাসনের কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজড, যুগোপযোগী ও গতিশীল করেছে। এর মাধ্যমে জনপ্রশাসন জনগণের দোরগোড়ায় দক্ষতা ও গতিশীলতার সঙ্গে সেবা দিতে সক্ষম হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, ২০০৯ হতে অদ্যাবধি ২৮তম বিসিএস হতে ৩৬ তম বিসিএস পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাডারে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রথম শ্রেণীর প্রারম্ভিক পদে ২৫ হাজার ২৭৮ জন এবং ১ম শ্রেণীর (৯ম গ্রেড) নন-ক্যাডার পদে ২ হাজার ৫০৮ জন ও ২য় শ্রেণীর (১০ম গ্রেড) পদে ৩ হাজার ৬৭৬ জন জনবল বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া সরাসরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে ১ম শ্রেণীর নন-ক্যাডারের বিভিন্ন পদে ২ হাজার ৭২১ জন এবং ২য় শ্রেণীর বিভিন্ন পদে ১৬ হাজার ৯৩০ জন জনবল বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক সুপারিশ করা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ছে না
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির বিষয়টি আবারও নাকোচ করে দিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। পাশাপাশি বয়সসীমা না বাড়ানোর কারনও ব্যাখা করলেন মন্ত্রী। সেসলিনা বেগমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ হতে বৃদ্ধি করে ৩৫ বছর করার কোনো উদ্যোগ আপাতত সরকারের নেই। তিনি জানান, পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরণের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে। ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পরেও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।
তিনি জানান, বর্তমানে চাকরি হতে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ বছর হতে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পেয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে যার ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনুর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ হতে বৃদ্ধি করে ৩৫ বছর করার কোনো উদ্যোগ আপাতত সরকারের নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।