Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছেড়ে দেয়া হয় ইমরান এইচ সরকারকে

প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১:০৭ এএম, ৭ জুন, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশের প্রস্ততিকালে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারকে আটকের পর জিজাসাবাদ করে রাতে ছেড়ে দিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মঞ্চের ঘোষিত ‘মাদকবিরোধী অভিযানের নামে ক্রসফায়ার বন্ধের দাবিতে সমাবেশে’ অংশগ্রহণের প্রস্তুতিকালে তাকে আটক করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোষাকদারী র‌্যাব।
র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান ক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে র‌্যাব-৩–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. এমরানুল হাসান বলেন,ইমরান এইচ সরকারকে আটক করা হয়েছে শাহবাগে তাঁর কর্মসূচির অনুমতি ছিল না বলে। এরপরও তিনি সেখানে কর্মসূচিতে পালন করছিলেন। এর আগেও তিনি একই কাজ করেছিলেন। তখন তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে পরে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
তবে কি কারণে ইমরান এইচ সরকারকে আটক করা হয়েছে তা র‌্যাব সদর দপ্তর মিডিয়া শাখা এখনো জানাতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কিনা জানতে চাইলে র‌্যাব মিডিয়ার একজন কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি র‌্যাব -৩ বলতে পারবে। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।
গণজাগরণ মঞ্চের কয়েকজন কর্মী জানান, বিকেলে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের প্রস্তুতিকালে ইমরান এইচ সরকারকে আটক করে নিয়ে যান র‌্যাবের সাদা পোশাকধারী ৭-৮ সদস্য।
এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, ‘ইমরান এইচ সরকারের কর্মসূচির কোনো অনুমতি ছিল না। শুধু ছাত্র ইউনিয়নের কর্মসূচির মৌখিক অনুমতি ছিল। তাই আমরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম। ইমরানের বিরুদ্ধে আমার থানায় কোনো মামলা নেই। তাঁর আটকের ব্যাপারে র‌্যাবই ভালো বলতে পারবে।
এদিকে ইমরান এইচ সরকারকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে সাংস্কৃতিক কর্মী সঙ্গীতা ইমাম বলেন, আমরা এখানে কথা বলতে এসেছিলাম। কিন্তু ইমরান এইচ সরকারকে এভাবে তুলে নিয়ে যাবে এটা ঠিক নয়।
স¤প্রতি র‌্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের নিহত হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে একটি অডিও ক্লিপ দেয়া হয়। একরামকে ‘ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে’ বলে দাবি করেছে পরিবার। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ক্লিপটি ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী এই অভিযান নিয়ে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
ক্লিপটি প্রচারের পর রোববার শাহবাগে প্রতিবাদ ও অবস্থান কর্মসূচি দেয় গণজাগরণ মঞ্চ। তবে পূর্বানুমতি না নেয়ায় সেদিনে পুলিশের বাধার মুখে তাদের সরে যেতে হয়। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ