Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে ঘণ্টাব্যাপী যানজট

ট্রাফিক সার্জেন্টরা চাঁদা আদায়ে ব্যস্ত

| প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আমতলী (বরগুনা) থেকে তালুকদার মোঃ কামাল : ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী চৌরাস্তায় ঘন্টা ব্যাপী দীর্ঘ যানজটে অতিষ্ঠ চালক ও যাত্রী সাধারন। ট্রাফিক সার্জেন্টরা শহর থেকে দূরে গিয়ে ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন থামিয়ে চাঁদা আদয়ে ব্যস্ত থাকে।
প্রতিদিন দুপুরে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে আমতলী চৌরাস্তায় ১ কি.মি. দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে চালক ও যাত্রী সাধারন অতিষ্ঠ হয়ে ঘন্টাব্যাপী জট থেকে মুক্ত হওয়ার প্রতীক্ষা করতে থাকেন। এরূপ যানজট এখানে নৈমিত্তিক ব্যাপার। এই মহাসড়কটি পায়রা সমুদ্র বন্দর, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতিদিন শতাধীক সিমেন্টবাহী লরী ও অন্যান্য মালামালবাহী ট্রাক লরী ইত্যাদি চলাচল করছে। এছাড়া পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় যাত্রীবাহী বাস, নাইট কোচ, ডে-কোচ, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করছে। মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে দেশের বিভিন্ন জেলায় চালান হয়ে যাচ্ছে। এসব কারনে এই মহাসড়কটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অত্যন্ত ব্যস্ততম সড়কে পরিণত হয়েছে। তাই সরকার এই সড়কটি নিরাপদ ও যানজট মুক্ত করার জন্য আমতলীতে একটি ট্রাফিক জোন প্রতিষ্ঠা করেন এখানে ১ জন টি আই, ২ জন সার্জেন্ট, ৩ জন এটিএসআই, ৪ জন ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দিয়েছেন। ট্রাফিক জোন সৃষ্টি হওয়ার পূর্বে ট্রাফিক পুলিশরা যানজট নিরাসনে আপ্রান চেষ্টা করেছেন। জোন সৃষ্টি হওয়ায় জোনের সার্জেন্টরা যানজট নিরসনের পরিবর্তে চাঁদা আদায়ের দিকে বেশি মনযোগী হয়ে পরেছেন। প্রায় দেখা যায় ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহফুজ ও নজরুল ইসলাম আমতলী শহরের সম্ভাব্য যানজট এলাকা ছেড়ে ২/৩ কিলোমিটার দূরে গিয়ে ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে। এদিকে যানজট শুরু হলে ট্রাফিক পুলিশকে আশপাশে দেখা যায় না। চালকরা প্রায় তাদের কথা শুনতে চান না।
অভিযোগে জানা যায়, ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহফুজ আমতলীতে পাশবর্তী কলাপাড়া উপজেলা এবং তার পূর্বে পটুয়াখালী সদরে তার পূর্বে বরিশাল সদরে কর্মরত ছিলেন। প্রত্যেকটি স্থান থেকে তিনি চাঁদাবাজির অভিযোগে বদলী হতে হতে আমতলীতে এসে পৌছেছেন। “কথায় আছে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও বাড়া ভাণে”। ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহফুজ-নজরুলও চাঁদাবাজি পরিত্যাগ করতে পারেন নি। জুয়েল নামের এক পিকাপ চালক জানান, পটুয়াখালীতে সার্জেন্ট নজরুল ডগ সার্জেন্ট নামে পরিচিত, আমি পটুয়াখালী-আমতলী আসার পথে আমতলীর ঘটখালী নামক স্থানে আসলেই গাড়ি থামিয়ে কাগজ-পত্রঠিক থাকলেও মামলা দিবে বলে জানান, তা না হলে ৫শ টাকা দিতে হবে, পরে ৫শ টাকা চাঁদা দিয়ে চলে যাই। টিএসআই/সার্জেন্ট নজরুলের সাথে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা মিথ্যা কথা। আপনার সাথে সরাসরি কথা বলতে চাই মোবাইলে নয়।
বরগুনা জেলা পুলিশ সুপারের সাথে সার্জেন্ট মাহফুজ ও নজরুলের চাঁদা আদায়ের ব্যাপারে বললে তিনি বলেন, ঠিক আছে, আমি দেখছি।



 

Show all comments
  • Kamal Pasha Jafree ৭ জুন, ২০১৮, ১:৩৪ পিএম says : 0
    সারাদেশব্যাপী একই অবস্থা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ