পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মাদক বিরোধী অভিযানের নামে সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাÐের লাইসেন্স দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, সরকার এতোদিন কোথায় ছিল? হঠাৎ করে কেনো মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করল? আসলে এর মাধ্যমে সরকার মানুষ হত্যার লাইসেন্স দিয়ে দিচ্ছে। সংবিধানের কোথায় আছে যে বিচারবহির্ভূত মানুষ হত্যা করা যাবে? আসলে দেশে আইন নেই। এ জন্যই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাÐ চলছে। কারণ এই সরকার আইনের শাসনে, জনগণের মতামতকে বিশ^াস করেনা। তিনি প্রতিটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাÐের জন্য বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। গতকাল (বুধবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত ‘সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন বন্ধ এবং মাহমুদুর রহমান ও শওকত মাহমুদসহ সাংবাদিককের বিরুদ্ধে মামলা সন্ত্রাসের প্রতিবাদ’ শীর্ষক সমাবেশে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
দেশব্যাপী মাদবিরোধী অভিযানে সরকারের দূরভিসন্ধি রয়েছে মন্তব্য করে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, গত নয় বছরে বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশে মাদকের বিস্তার লাভ করেছে। মাদকের সাথে সরকারের সবাই জড়িত। এই সরকারই মাদকের সুযোগ করে দিয়েছে। আজকে তরুণদেরকে মাদকের মাধ্যমে ধ্বংস করে দিয়ে চেতনা থেকে দূরে রেখেছে সরকার। তিনি বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে এখন পর্যন্ত যারা ক্রসফায়ারে মারা গেছে তাদের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মাদকের সাথে জড়িত নয়। ৭৯ জনের যে তালিকা করা হয়েছিল তাদের তো কেউ ধরা পড়েনি। অন্যদিকে কক্সবাজারের বদিকে বিদেশ যেতে সহায়তা করা হলো! ‘বিএনপির মাদকব্যবসায়ীদের খোঁজা হচ্ছে’ আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মওদুদ আহমদ বলেন, তাহলে এতদিন যাদের ধরলেন আর মারলেন তারা কি আওয়ামী লীগের লোক? আসলে আমরা যে আশঙ্কা করেছিলাম এই অভিযানের বিরুদ্ধে দূরভিসন্ধি রয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মীর তালিকা করা হয়েছে। আমি বলব- এসব অবিলম্বে বন্ধ করুন। প্রকৃতপক্ষে শীর্ষ মাদকব্যবসায়ীদের ধরুন। মাদকবিরোধী অভিযানে নিহতদের বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে প্রত্যেক হত্যাকাÐের তদন্ত করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের একজন প্রাক্তন বিচারক দিয়ে এই কমিটি করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে নির্যাতন নিপীড়ন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। কারণ এই সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। এই সরকার একদলীয় এবং ভোটারবিহীন অবৈধ। এজন্যই সাংবাদিকদের ওপর বেশি নির্যাতন। কারণ তারা জনগণের মনের কথাগুলো লেখে এবং কিছুটা হলেও বলে। আমি বলব- এসব নির্যাতন বন্ধ করতে হলে আমাদেরকে কঠিন আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই সভ্যতা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। আজকে সরকার বলছে উন্নয়নশীল দেশের কথা। কিন্তু সভ্যতা, মূল্যবোধ, গণতন্ত্র ও সুশাসন না থাকলে উন্নয়নশীল বলাটা অর্থহীন।
বেগম জিয়ার কারাবন্দি প্রসঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করেছে। উচ্চ আদালত জামিন দিলেও নি¤œ আদালত জামিন দিচ্ছেনা। তারা সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে। বিচারবিভাগের পৃথকীকরণ সত্যিকারার্থে আর নেই। মাসদার হোসেন মামলার কার্যকারিতাও নেই।
মওদুদ আহমদ বলেন, আপনারা খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্বিত করতে পারেন। কিন্তু তিনি মুক্তি পাবেন। আমাদের দলের নেতৃত্ব দেবেন। বেগম জিয়ার নেতৃত্বেই বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে এবং বাংলাদেশে আগামী দিনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে ইনশাল্লাহ। কেননা বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আমরা প্রত্যাশা করি আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে। বিশেষ করে গ্রামের ভোটারেরা ভোটকেন্দ্রে যাবেন নি:সঙ্কোচে। কোনো সমস্যা থাকবেনা। এরবাইরে কোনো নির্বাচন জনগণ মানবেনা, হতেও দিবেনা।
বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও ডিইউজে’র যুগ্ম সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, সহসভাপতি আহমদ মতিউর রহমান, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি বাছির জামাল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।