পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মধ্যেও মাদক ব্যবসার সঙ্গে কারা জড়িত তা দেখা হচ্ছে। কে কোথায় আছে, কে রাঘববোয়াল, কে চুনোপুঁটি তা খোঁজা হচ্ছে।
‘পরিবেশ সংরক্ষণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে গতকাল ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটি এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের মধ্যে মাদক ব্যবসার সঙ্গে কারা জড়িত, তা দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপির ঢাকা উত্তর সিটির কমিটির বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় দেখলাম। পত্রিকার রিপোর্টে আছে, এর মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী এ কমিটিতে আছে। তাই আপনারাই (বিএনপি) তো স্বীকার করলেন সদ্যঘোষিত কমিটিতে মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসায়ী আছে। আর কোথায় কোথায় আছে তা খোঁজা হচ্ছে।’
চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতদের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তদন্তের দাবি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের বন্ধু, আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তারা তদন্ত চাইতেই পারে। কিন্তু এখানে আমরা নিজেরাই তদন্ত করছি। শেখ হাসিনা সরকারই তদন্তের বিষয়ে যথেষ্ট। অন্য কারও মাথা ঘামানোর দরকার নেই।
এবার বিএনপির মাদক স¤্রাটদেরও খোঁজা হবে বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হককে ‘ক্রসফায়ার’ দেওয়া হয়েছে। একরামুল কাদের লোক? আপনাদের (বিএনপি) মধ্যেও মাদক স¤্রাট রয়েছে। এবার তাদের খোঁজা হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির উদ্দেশ্য শুধু আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করা নয়, তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করাও। এজন্য আমাদের যা করার দরকার করবো। বিএনপি কখনও মাদক-সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলে না। মাদক সুনামিতে দেশ ধ্বংস হচ্ছে এটা দেখার দায়িত্ব কী শুধুই আওয়ামী লীগের! বিএনপি নেতারা এ বিষয়ে নিশ্চুপ। একমাত্র আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে সোচ্চার ভুমিকা রেখেছেন।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী। এখন বিএনপি না এলে সময় ¯্রােত তো অপেক্ষা করবে না। বিএনপি ছাড়া সব নিবন্ধিত দলই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই ৫ জানুয়ারির মতো আগামী নির্বাচনও তাদের জন্য থেমে থাকবে না। নিজ দলের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতার ফাঁদে ফেলার খোয়াব দেখে লাভ নাই। বিএনপি না এলেও তারা ছাড়া বাকি সব নিবন্ধিত দলই আসবে। নিবন্ধিত দল তো ৩৭টি আছে। একটা গেলে আরও ৩৬টা থাকবে। কোনও অসুবিধা আছে?’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন হাইকোর্টে হলো, আপিল বিভাগেও হলো। তখন কি সরকার হস্তক্ষেপ করেছে? এখন যখন জামিনের আইনি প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে তখন তারা তা মেনে নিতে পারছেন না। তারা আদালত মানে না।
বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির চেয়ারম্যন ড.খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জামান। আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, পরিবেশবিদ আতিক রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।