Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিতু হত্যার ৩ বছর আজ রহস্য উদঘাটন ছাড়াই দেয়া হচ্ছে চার্জশিট

| প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম


চট্টগ্রাম ব্যুরো : আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাÐের তিন বছর আজ। এখন পর্যন্ত চাঞ্চল্যকর এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। প্রধান সন্দেহভাজন কামরুল শিকদার ওরফে মুসার সাথে যেন হাওয়া গেছে খুনের রহস্যও। পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণার পরও মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামি মুসাকে এখনো খুঁজে পায়নি পুলিশ। তবে তদন্তকারি কর্মকর্তা বলছেন, তদন্ত শেষ পর্যায়ে যেকোনো সময় আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হবে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর জিইসি মোড়ের অদূরে ও আর নিজাম রোডে গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। হত্যাকাÐের পর স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর পুলিশ এ ঘটনায় গ্রেফতার করে নবী, ভোলা, মনির, ওয়াসিম, কালু, রাশেদ, শাহজাহান ও আনোয়ারকে। পরে নবী ও রাশেদ ক্রসফায়ারে নিহত হয়।
গ্রেফতার আনোয়ার ও ওয়াসিম জবানবন্দিতে জানায়, মিতু হত্যার পুরো বিষয়টির সমন্বয় করে কামরুল শিকদার ওরফে মুসা। তার নির্দেশেই তারা হত্যাকাÐে অংশ নিয়েছিল। হত্যাকাÐে ব্যবহৃত অস্ত্র এবং মোটর সাইকেলটি মুসা জোগাড় করে দেয়। সেই মুসা কোথায়, তা আজও জানা যায়নি। তার স্ত্রী পান্নার দাবি, হত্যাকাÐের ১৭ দিন পর বন্দর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে মুসাকে। কিন্তু পুলিশ এ অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে আসছে। মুসার সন্ধান দিতে ৫ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, মুসাকে গ্রেফতার করা গেলে খুনের রহস্য উদঘাটন করা যাবে।
এদিকে শুরুতে মিতুর বাবা-মা বাবুল আক্তারের পক্ষে থাকলেও কয়েক মাস পর তারা মিতুকে খুনের জন্য তাকে সন্দেহ করেন। তবে মিতুর মা-বাবার অভিযোগ থাকলেও এর কোন সত্যতা পায়নি পুলিশ। মামলাটি তদন্ত করছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-ডিবি-উত্তর) মোঃ কামরুজ্জামান। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, খুনের রহস্য উদঘাটন না হলেও তদন্ত শেষ করে আনা হয়েছে। শিগগিরই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে। বাবুল আক্তারের ব্যাপারে মিতুর মা-বাবা যেসব অভিযোগ করেছেন তার সত্যতা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিতুর বাবা একসময় এক কথা বলছেন। খুনের প্রকৃত রহস্য কি তা স্পষ্ট না হলেও চার্জশিট প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
অপরদিকে স্ত্রী খুনের রহস্যের মতোই পুলিশ সুপারের পক্ষে বাবুল আক্তারের পদত্যাগের বিষয়টিও অজানা থেকে গেছে। ২০১৬ সালের ২৪ জুন রাতে ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর কিছুদিন পর সরকারি তরফে বলা হয়, বাবুল আক্তার স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে বাবুল আক্তার কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। মা হারা দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছেন বাবুল আক্তার। একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন তিনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ