পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : কোমরের নিচে জোড়া লাগা অবস্থায় জন্ম নেয়ার পর অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা করার পর থেকে শারীরিকভাবে ভালই আছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের আলোচিত জমজ শিশু তোফা-তহুরা। গত বছরের আগষ্ট মাসে তোফা-তহুরাকে অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা করে ঢাকা মেডিকেলের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। জন্মের পর থেকেই তোফা-তহুরা মায়ের সাথে থাকছেন উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের কাশদহ গ্রামের নানা শহিদুল ইসলামের বাড়িতে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তোফা-তহুরার দিন কাটছে হেঁসে খেলে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন শিশু দু’টি খোঁজ খবর রাখছেন সব সময়। উপজেলা প্রশাসন থেকে তোফা-তহুরার জন্য সৌর বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে গত ৬ মাস আগে। এবার সেখানে আলাদা ঘর করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম গোলাম কিবরিয়া জানালেন জন্ম নেয়ার পর থেকেই তোফা-তহুরার পাশে থেকে দেখভাল করে আসছে উপজেলা প্রশাসন। সৌর বিদ্যুৎ সংযোগের সাথে ফ্যানসহ কিছুদিন আগেও চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাওয়ার আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এবার শিশু দুটির বসবাসের সুবিধার্থে একটি ঘর করে দেয়ার চিন্তা ভাবনা চলছে। এ ব্যাপারে ইউএনও জানালেন জমি আছে ঘর নেই সেই প্রকল্পের আওতায় একটি ঘর দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে তার আগে দেখতে হবে তাদের জমি আছে কিনা। তোফা-তহুরার বাবা অথবা নানা এ দুজন থেকে যেখানে জমি পাওয়া যাবে সেখানেই ঘর দেয়া হবে। শিশু দুটির মা শাহিদা বেগম জানালেন তোফা-তহুরা এখন ভালই আছে। তারা বুকের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবারও খাচ্ছে। তারা বর্তমানে বাড়ির উঠানে বাঁশ ধরে হাঁটাহাঁটি করা শিখছে। তবে তহুরা এখনো মূত্র জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে তিন ঘন্টা পরপর তহুরাকে ক্যাথেটার দিয়ে প্রসাব করানো হচ্ছে। সেটাও কাটিয়ে উঠা সম্ভব। এছাড়া আর কোন সমস্যা নেই। তিনি আরো জানান, তোফা-তহুরার শারীবিক সমস্যাসহ যে কোন বিষয়ে ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তাদের পরামর্শ মোতাবেক স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করি। শাহিদা জানান, ঈদুল ফিতরের পর তোফা-তহুরার আরো দুটি অপারেশন করা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। দু’শিশুর জন্মের আগে থেকেই বাবার বাড়িতে থাকছেন শাহিদা। শিশুকে দুটিকে নিয়ে দরিদ্র বাবার ঘরে কষ্ট করেই থাকছেন তিনি । তোফা-তহুরার বাবা সাজু মিয়া খুব গরীব। উল্লেখ্য ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কোমড়ের পিচে জোড়া লাগানে অবস্থায় জন্ম গ্রহণ করে তোফা-তহুরা। ২০১৭ সালের আগষ্ট মাসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অপারেশনের মধ্যে দুই শিশুকে আলাদা করে। শাহিদা বেগমের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন তোফা-তহুরার জন্য ঘর নির্মাণ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।