Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ অনেকেই

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিনে গতকালও উপচে পড়া ভিড় ছিল। টিকিটের আশায় আগের দিন সন্ধ্যার পর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন শত শত যাত্রী। এরপরও অনেকে কাঙ্খিত টিকিট পাননি। দিনাজপুরের এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, লাইনের সামনে সারিতে থেকেও চারটি টিকিট চাইলে আমাকে বলা হয়, দুইটার বেশি টিকিট নাই। ওই যাত্রী শেষ পর্যন্ত টিকিট না নিয়েই কাউন্টার ত্যাগ করেন। তার মতো আরো অনেক যাত্রীর একই অভিযোগ। সারারাত লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে টিকিট পাননি। আজ তৃতীয় দিনে দেয়া হবে ১২ জুনের টিকিট। এ প্রসঙ্গে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা প্রতিদিন ২৩ হাজার ৫শ’ টিকিট বিক্রি করছি। মেইল, কমিউটারসহ আন্তঃনগর ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬০ হাজার টিকিট বিক্রি হচ্ছে। গতবারের চেয়ে এবার যাত্রীর চাপ বেশি উল্লেখ করে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, এতো মানুষকে তো আর তাদের চাহিদামতো টিকিট দেয়া সম্ভব নয়।
কমলাপুর স্টেশনের যে ২৬টি কাউন্টার থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে তার মধ্যে দুটি কাউন্টার নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য। একজন টিকিটপ্রত্যাশী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারছেন। ৩১টি আন্তঃনগর ও পাঁচটি ‘ঈদ স্পেশাল’ ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে এসব কাউন্টার থেকে। প্রতিদিন বিক্রি করা হচ্ছে ২৩ হাজার ৫১৪টি টিকিট। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ পাওয়া যাচ্ছে কাউন্টারে। বাকি ২৫ শতাংশ অনলাইন, ৫ শতাংশ ভিআইপি ও ৫ শতাংশ রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে সরেজমিন কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি কাউন্টারের সামনেই টিকিটপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ সারি। অনেকে ইফতারির পর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন। সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্টেশনে কথা হয় মতিঝিলের এক সরকারি চাকরিজীবীর ফুয়াদ হাসানের সাথে। তিনি জানান, ১১ জুন রাজশাহীর জন্য টিকিটি কাটতে এসেছেন। সেহেরীর পর লাইনে দাঁড়িয়ে চারটি টিকিট পেয়েছেন। এজন্য তিনি খুশি। তবে তার পরের জনই টিকিট পাননি। ওই কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, পাবলিকের জন্য যে পরিমান টিকিট রাখার কথা সে পরিমান টিকিট দেয়া হচ্ছে না। হলে অনেকেই টিকিট পেতো। দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেসের টিকিট কাটতে এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী এরিনা ও বিথী। তারা দুজনেই টিকিট পেয়ে বেজায় খুশি। শোভন চেয়ারের টিকিট পেয়েও তাদের সংশয় আরামে যেতে পারবেন কি না। কারন শোভন শ্রেণিতে এতো বেশি স্ট্যান্ডিং যাত্রী তোলা হয় যে চেয়ারে বসেও কোনো যাত্রী আরামে যেতে পার না। ওই দুই শিক্ষার্থী জানান, সড়কপথে দুর্ভোগের আশঙ্কায় ট্রেনের টিকিট কাটতে উৎসাহী হয়েছেন তারা। গতবারও তারা সড়কপথে না গিয়ে ট্রেনে বাড়ি গেছেন।
আজ রবিবার বিক্রি করা হবে ১২ জুনের টিকিট। একইভাবে ৪, ৫ ও ৬ জুন বিক্রি হবে যথাক্রমে ১৩, ১৪ ও ১৫ জুনের টিকিট। ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১০ জুন থেকে। ওইদিন ১৯ জুনের টিকিট বিক্রি করা হবে। ১১ জুন বিক্রি হবে ২০ জুনের টিকিট। এভাবে ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ জুন যথাক্রমে ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ জুনের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঢাকার কমলাপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুরসহ বড় স্টেশনগুলোয় ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টিকিট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ