পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে কৃষি খাতে সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল থাই রাজকুমারী মাহা চাকরি সিরিনধম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং থাই রাজকুমারী মূলত, কৃষি খাত নিয়েই আলোচনা করেন এবং এই খাতে দুই দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে সহযোগিতার বিয়য়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। থাই রাজকুমারী বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বিশেষ করে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প এবং ক্ষুদ্র সঞ্চয় কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের কৃষি খাতের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের বিজ্ঞানীরা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য লবণাক্ততা, বন্যা এবং ক্ষরাসহিষ্ণু প্রজাতির ধান উদ্ভাবন করেছে। তিনি থাই রাজকুমারীকে বলেন, বাংলাদেশ স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ছাগল, গরু এবং ভেড়া থেকে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে মাংস উৎপাদন করছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আম চাষে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন, কারণ থাইল্যান্ড বছরজুড়ে আম উৎপাদনে বিখ্যাত। থাই রাজকুমারী প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তার দেশ একটি প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশকে ‘ভেটিভার ঘাস’ দিচ্ছে। এই ঘাস আকারে লম্বা ও পুরু এবং যা মাটির ক্ষয়রোধ ও সুরক্ষায় কার্যকরি। বাংলাদেশের মওসুমি ফল লিচু থাইল্যান্ডে খুব জনপ্রিয় এবং থাইল্যান্ড বাংলাদেশ থেকে লিচু আমদানি করছে বলে জানান থাই রাজকুমারী। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনীম এবং ঢাকায় থাই রাষ্ট্রদূত প্যানপিমন সুয়ান্নাপোংসে এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।