Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফকে ছেড়ে দেয় আর খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয় : রিজভী

| প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 

স্টাফ রিপোর্টার : দেশ কারা চালাচ্ছে জানতে চেয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল করিব রিজভী বলেন, সরকার সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দিচ্ছে আর তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেলে আটকে রেখেছে। তিনি বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, তিনি নাকি কিছু জানেন না। গোপনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কী ভয়ঙ্কর অবস্থা। তাহলে দেশ চালাচ্ছে কারা? কাদের সিদ্ধান্তে জোসেফকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে? অথচ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী তাকে মিথ্যা মামলায় স্যাঁতসেঁতে ঘরের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। তাকে সঠিক চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে না। তার জামিন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে সরকার। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, দেখুন শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু জোসেফ নয়, আরও অনেকেই এভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জোসেফকে মুক্তি দিয়ে গোপনে বিদেশে পার করে দেওয়া হয়েছে। কী অদ্ভুত ব্যাপার? আর অন্যদিকে এই সরকারের চÐনীতির কারণে আজকে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। এই মামলায় (কুমিল্লা) তিনি কারাগারে থাকতে পারেন না, এটা মিথ্যা-বানোয়াট মামলা, তিনি নির্দোষ। এখানেই প্রমাণিত হয়, কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় নয়, কোনো মামলা নয়, এটা সাজানো নথি, এই নথি সাজানো হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে কষ্ট দেওয়ার জন্য। শেখ হাসিনার অন্তরের জ্বালা-বিদ্বেষ এটা মেটানোর জন্য। আমরা মনে করি, দেশনেত্রীর জামিন নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে - এটা কারো নির্দেশে নয়, একমাত্র সরকার প্রধান যিনি তারই নির্দেশে সব কিছু হচ্ছে। যত দিন পারা যায় তাকে কষ্ট দিতে হবে।
চট্টগ্রামে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস কাদের চৌধুরীর গুডহিলে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, ইফতারের পরপরই একদল সশস্ত্র ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী আক্রমন চালায়। এই হামলাটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু সাদেক মো: সায়েমের নেতৃত্বে চালানো হয়। এতে অংশ নেয় চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ, হাজী মো: মহসীন কলেজ ছাত্রলীগ ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী। এই হামলায় ২০টি ব্যক্তিগত গাড়ী ও নিরাপত্তা প্রহরীদের বাসাসহ মূল ভবনেও ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও তারা সেখানে দর্শকের ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, সায়েম ঔদ্ধত্য সহকারে বলেন ‘২০১০ সালে এলডিপি’র চেয়ারম্যান কর্নেল (অব:) অলি আহমেদ এর ওপর চট্টগ্রাম আদালতে আমরা হামলা চালিয়েছি। যারাই আওয়ামী লীগ ও আমাদের নেত্রীকে স্পর্ধা দেখাবে তাদেরকে সাইজ করা হবে।’ এই হচ্ছে আওয়ামী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যাডার বাহিনী। অপরাধীকে প্রশ্রয় দিয়ে সরকার সারাদেশে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে বেআইনী পন্থায়। আওয়ামী চেতনায় রাঙ্গানো পুলিশের সাথে সাথে দলীয় অপরাধীদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জীবন, সহায়-সম্পদ সবকিছু বিপন্ন করার। তাই ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তিদের আশকারা পেয়ে সায়েম’রা এলাকায় এলাকায় মাফিয়া ডন এ পরিণত হয়েছে।
৩০ মে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাৎবার্ষিকীতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ইফতার ও বস্ত্র সামগ্রী বিতরণে বাধা দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এসময় সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস কাদের চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ