পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে হাইস্পীড ট্রেন চলবে। এ জন্য ঢাকা থেকে কুমিল্লা-লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত নতুৃন রেল লাইন স্থাপন করা হবে। নতুন এই রেলপথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব হবে ২৩০ কিলোমিটার। যা বিদ্যমান রেলপথের দূরত্ব থেকে ৯০ কিলোমিটার কম। এই রেলপথে ২০০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলবে। ২৩০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিতে সেই ট্রেনের সময় লাগবে দেড় থেকে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রেলভবনে ঢাকা-চট্রগ্রাম ভায়া কুমিল্লা/লাকসাম হাইস্পীড ট্রেন নির্মানের উদ্দেশ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিজাইন নির্মানের চুক্তি সই হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এটি। এই প্রকল্পের শতভাগ প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা-চট্টগ্রামের বিদ্যমান রেলপথের দূরত্ব ৩২১ কিলোমিটার থেকে কমে ২৩০ কিলোমিটার হবে। এই রেলপথে হাইস্পীড ট্রেন চলবে দুশ কিলোমিটার গতিতে। তাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লাগবে। এতে করে দ্রæত যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হবে। দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে এই ট্রেন সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। পদ্মাসেতু রেল প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু রেল সেতু প্রকল্পসহ রেলের আরও কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কথা তুলে ধরে রেলমন্ত্রী বলেন, এ সবই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। তিনি বলেন, এর আগে অন্য কোনো সরকার রেলের দিকে নজর দেয়নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর রেলকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর টাকা জোগাড় করতে পেরেছেন, আশা করছি এই প্রকল্পের ফিজিবিলিট স্টাডি ও ডিটেইল ডিজাইন হয়ে গেলে এর টাকাও তিনি জোগাড় করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হাইস্পীড রেলওয়ে প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশন (সিআরডিসি) চায়না ও মজুমদার এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশ কনসোরটিয়াম।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। প্রায় ১১০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে। দুই বছর মেয়াদে ২০১৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সমীক্ষা ও বিশদ ডিজাইনের কাজ শেষ করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পটি সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে। হাইস্পীড ট্রেনের রেল লাইন নির্মাণে চীনের সঙ্গে জি-টু-জি ভিত্তিতে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। গতকাল ফিজিবিলিটি স্টাডি ও বিশদ ডিজাইনের চুক্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ কামরুল আহসান এবং চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশন (সিআরডিসি) চায়নার পক্ষে স্বাক্ষর করেন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডিপার্টমেন্টের বিজনেস ম্যানেজার লিও ওইচাও।
চুক্তি অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং ডিটেইলড ডিজাইন কাজ শেষ করবে। বাংলাদেশী টাকায় ১০২ কোটি ১০ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৩০ টাকা চুক্তি মূল্য । সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে কনসালটেন্সি সার্ভিসের কাজ করা হচ্ছে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন, কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।