পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আসছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার রুপরেখা দিতে যাচ্ছেন। নতুন ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল, ব্যয় ও সময় সাপেক্ষ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই, একটি নীতিমালা দিয়ে কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশনা থাকবে। এসব বিষয় নিয়ে এরই মধ্যে অর্থমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অর্থমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, পেনশনের আওতায় চাকরিজীবীরা আগে নিবন্ধন নেবেন এবং প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দেবেন। এর বিকল্প হিসেবে বেসরকারি খাতের নিয়োগদাতারা তাদের কর্মচারীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট টাকা দেবেন। নিবন্ধিত সেই চাকরিজীবী সরকারের পক্ষ থেকেও একটি ফান্ড পাবেন। চাকরিজীবন শেষে সেই ফান্ডের লাভের অর্থ থেকেই পেনশন পাবেন সুবিধাভোগী। তবে, নতুন ব্যবস্থায় সরকারি চাকুরিজীবীদের বয়স হতে হবে ৬০ বছর আর বেসরকারি চাকরিজীবীদের বয়স হবে ৬৫ বছর। যৌথ এই ফান্ড পরিচালনা করতে একটি রেগুলেটরি অথরিটি নেওয়া হবে।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। সেই ধারাবাহিকতায় আসছে নতুন বাজেটে তার একটি কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘আগামী অর্থবছর থেকেই বেসরকারি পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে নিয়োজিত সকল কর্মজীবী মানুষের জন্য টেকসই বৈষম্যহীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে বিবেচনা করছে সরকার।’
তবে, রুপরেখা দিলেও এখনই তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। সার্বিক কাঠামো বিবেচনায় বাস্তবায়ন করতে আরো কয়েক বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নির্বাচনের পর নতুন সরকার এটি নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবে।
অর্থমন্ত্রী চলতি (২০১৭-১৮) অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘সরকারি পেনশনভোগীরা দেশের মোট জনগণের অতি ক্ষুদ্র অংশ। তাই, সরকারি কর্মচারীদের পাশাপাশি সকলের জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় অংশগ্রহণমূলক সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুকরণে আমরা কাজ করছি।’ তারেই অংশ হিসেবে আসছে বাজেটে থাকবে এ নিয়ে দিক নির্দেশনা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে যে রুপরেখা থাকবে তাতে চলমান চাকরিজীবীরা এ সুযোগ পাবেন না। যখন থেকে ব্যবস্থাটি কার্যকর হবে তখন থেকে যারা চাকুরি শুরু করবেন তারাই এই সুযোগের আওতায় আসবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। যা দেশের মোট কর্মক্ষম মানুষের মাত্র ৫ শতাংশ। এরাই নিয়মিত পেনশন সুবিধা পাচ্ছেন। বাকি ৯৫ শতাংশের মধ্যে চাকরি করছেন এমন ৮ শতাংশ শুধু গ্রাচ্যুইটি সুবিধা পান। বাকিরা কিছুই পান না।
২০১৪ সালে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সে বছর থেকে চলতি বছর পর্যন্ত প্রতি বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলছেন, পেনশন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে দেশে একটি সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা। দেশের বেসরকারি জনগোষ্ঠিকে পেনশনের আওতায় নিয়ে আসা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।