পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দোয়া-মিলাদ মাহফিল, দুস্থ্যদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র বিরতণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ নানা আয়োজনে পালন করা হয়েছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাতবার্ষিকী। অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দিনটি পালন করেছেন। সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কালো প্রতাকা উত্তোলনের পর কবরে ফুল দিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করেছে বিএনপি। প্রতিবার দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং দোয়া-মোনাজাতে অংশ নিলেও এবার তিনি কারাগারে বন্দি থাকায় কেন্দ্রীয় নেতারা এটি করেছেন। গতকাল (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টায় শেরে বাংলা নগরে জিয়ার কবরে ফুল দেন। পরে তারা দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও তার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকার রুহের মাগফেরাত কামনা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করে মোনাজাত করেন। পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
১৯৮১ সালের ৩০ মে রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সৈনিকের হাতে শাহাদাত বরণ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক জিয়াউর রহমান। সেই থেকেই তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি দিবসটিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবাষির্কী হিসেবে পালন করে আসছে। এবারও দলের প্রতিষ্ঠাতার শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি গত ২৫ মে থেকে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সেখানে তারা কিছুক্ষণ নিরবতা পালন শেষে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হয় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায়। একই সাথে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেও মোনাজাত করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিন, মীর সরফত আলী সপু, অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান, কাজী আবুল বাশার, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, আনোয়ার হোসাইন, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, তকদীর হোসেন মোঃ জসিম, হাফেজ আবদুল মালেক, শাহ নেসারুল হক প্রমুখ।
ফুল দেওয়ার পর মির্জা ফখরুল সরকারের দমন-পীড়নের সমালোচনা করে বলেন, সারাদেশটাকে তারা কারাগারে পরিণত করেছে। দেশনেত্রীকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আজকের দিনে আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে শপথ নিয়েছি যে, আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনব এবং দেশনেত্রীকে মুক্ত করব। বিএনপি ছাড়াও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, যুবদল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, তাঁতীদল, মৎস্যজীবী দল, ড্যাব, এ্যাব, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জিয়ার কবরে ফুল দেওয়া হয়।
খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণে বাধা: জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে পুলিশ দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করতে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকারের যে দমননীতি বিরোধী মত-পথ, বিএনপিকে ধ্বংস করবার যে নীতি, বিশেষ করে শহীদ জিয়ার সমস্ত চেতনাকে পুরোপুরি বিনষ্ট করে দেওয়ার যে চক্রান্ত, সেই চক্রান্তের অংশ হিসেবে আজকে তারা ত্রাণ বিতরণের কর্মসূচিতে সব জায়গায় বাধা দিয়েছে। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র ও ইফতার সামগ্রী বিতরণের এই কর্মসূচি নিয়েছিল বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তিন দিন আগে ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে এ কর্মসূচির কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টার পরে জানানো হয়েছে, বাইরে কিছুই করা যাবে না। পারলে ঘরের ভেতরে করতে হবে। এখন ঘরের মধ্যেও তারা এলাউ করছে না। সেখানেও পুলিশ দিয়ে তারা সব কিছু ভেঙে দিচ্ছে, কর্মীদের গ্রেফতার করছে। তিনি বলেন, সকালে শেরেবাংলা নগরের টিঅ্যান্ডটি মাঠে টেবিল সাজিয়ে বস্ত্র ও ইফতার সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সকালেই তা ভেঙে দিয়েছে। আমি পরে গিয়ে কিছু বিতরণ করতে পেরেছি। এরপর মোহাম্মদপুর টাউন হলে, শহীদ পার্কে যেসব আয়োজন ছিল, সবকিছু পুলিশ ভেঙে দিয়ে কর্মীদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। কলাবাগানেও একই অবস্থা করেছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২৫ জায়গায় এ আয়োজন হলেও কোথাও পুলিশ তা করতে দেয়নি।
তবে সকালে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প খোলা হয়। বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে ওষুধও বিতরণ করা হয়। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে। তোলা হয়েছে কালোপতাকা। নেতা-কর্মীরা পরেন কালো ব্যাজ। দিনটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনগুলো পোস্টার বের করেছে। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয়েছে বিশেষ ক্রোড়পত্র।
গুলশান কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল: শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিকেল ৫টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) রুহুল আলম চৌধুরী, মোঃ আব্দুল কাইয়ূম, প্রফেসর ডা.সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর শাহেদা রফিক, সাবিহ উদ্দিন আহম্মেদ, ড. এনামুল হক চৌধুরী, ঈসমাইল জবিউল্লাহ, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, ক্যাপ্টেন (অবঃ) সুজা উদ্দিন, মুন্সি আলাউদ্দিন আল আযাদ, মোঃ জকরিয়া, সাজ্জাদ হোসেন, এ কে এম জাহাঙ্গীর, রিয়াজ উদ্দিন নসু, তাবিথ আউয়াল, শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবীর খান প্রমূখ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা শাহ মোঃ নেসারুল হক।
চেয়ারপারসনের বাসভবনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল: দিনটি উপলক্ষে বিকাল সাড়ে ৫টায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনেও দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুলাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, মেজর (অবঃ) কামরুল ইসলাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কাইয়ূম, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ঈসমাইল জবিউল্লাহ, বিজন কান্তি সরকার, কর্ণেল (অবঃ) মোঃ ইসহাক মিয়া, কর্ণেল (অবঃ) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মেজর (অবঃ) আজিজ রানা, রিয়াজ উদ্দিন নসু, শামসুদ্দিন দিদার প্রমূখ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা আব্দুল মালেক।
ময়মনসিংহ ব্যুরো জানায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা: এডেএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বর্তমান অবৈধ সরকার আদালতকে ব্যবহার করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে। কারন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হলে গণতন্ত্রের মুক্তি মিলবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি মানেই গনতন্ত্রের মুক্তি। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর মাহমুদ আলম, শহর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলীসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে একই সময়ে জেলার গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের অনন্তগঞ্জ বাজারে ইফতার মাহফিল করেছে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারন সম্পাদক অ্যাড. নূরুল হক।
বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়া জেলা বিএনপির আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে জিয়ার প্রতিকৃতিতে পুষ্প অর্পণ শেষে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে এতিম, গরীব ও দুস্থ্যদের মাঝে খাদ্য সামগ্রি বিতরণ করা হয় এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য জয়নাল আবেদীন চাঁন। ফজলুলবারী তালুকদার বেলাল, কেন্দ্রীয় সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ শোকরানা প্রমুখ ।
গাবতলী (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। তিনি আমাদের সবার হৃদয়ের মাঝে চিরকাল-চিরদিন বেঁচে থাকবেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃ প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতীয় উন্নয়ন অগ্রগতির উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এছাড়াও বাগবাড়ী বাসভবনে দলীয় পতাকা ও কাল পতাকা উত্তলন, কোরআনখানী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও চিকিৎসা সেবা’র উদ্বোধন, জিয়া মঞ্চে চিত্র অংকন, শহীদ জিয়ার জীবনের উপর কবিতা আবৃত্তি ও প্রবন্ধ পাঠ প্রতিযোগিতা, বাদযোহর দোয়া, আলোচনা সভা ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন ও বাগবাড়ী বাজারে শহীদ জিয়ার জীবনের উপর চলচিত্র প্রদর্শনী’সহ নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
ল²ীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির প্রচার সম্পাদক ও ল²ীপুর সদর আসনের সাবেক এমপি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বেগম জিয়া কে মুক্ত করতে হবে। সরকারের কোন সমর্থন নেই দাবী করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া কে জেলে পাঠিয়েছে। সরকার প্রশাসন দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । সরকারের পক্ষে কোন লোক জন নেই। তিনি নির্বাচনমুখী আন্দোলন দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে থাকার আহবান জানান। এ্যানির বাসভবণের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এ্যাড: সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলম, জেলা বিএনপির সহসভাপতি এ্যাড: হাফিজুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভৃঁইয়া, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, প্রমুখ। অপর দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সাবুর উদ্যোগে তার বাসভবণের সামনে পৃথক ভাবে বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে দলের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট অর্থপেডিক চিকিৎসক ড্যাব নেতা অধ্যাপক ডাঃ আনোয়ারুল হকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় শহীদ জিয়ার কর্মময় জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুল হক, সহ-সভাপতি সৈয়দ জাহেদুল আলম, সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব ভূইয়া, মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান মশু, যুগ্ম সম্পাদক বজলুর রহমান পাঠান, শফিউল্লাহ চেয়ারম্যান, প্রমূখ। পরে শহীদ জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাক ও দেশ এবং জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, গাজীপুর জেলা বি এন পির উদ্যোগে দলীয় কাযালয়ে এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। গাজীপুর জেলা বি এন পির সভাপতি এ কে এম ফললুল হক মিলনের সভাপতিত্েেব অন্যান্যের মধ্যে বওব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, মীর হালিমুজজান ননী, বি এন পি নেতা সোহরাব উদ্দিন, আনেয়ার হোসেন হুমায়ুন কবির রাজু প্রমুখ
বরুড়া উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর উদ্যোগে উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জহিরুল হক স্বপন বক্তব্য রাখেন।
জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, জয়পুরহাট জেলা কার্য্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, মরহুমের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল, ও শহীদ জিয়ার আন্তার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট সদও উপজেলা চেয়ারম্যান সহসভাপতি ফজলুর রহমান, মমতাজ উদ্দিন মন্ডল,অধ্যক্ষ শামছুল হক,আমিনুর রহমান বকুল, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক নাফিজুর রহমান পলাশ ,সাংগঠনিক সম্পাদক মতিয়র রহমানসহ অন্যন্যরা।
লাকসাম উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা ও মুক্তি এবং লাকসামের বিএনপি নেতা হিরু-হুমায়ুনের সন্ধান কামনায় লাকসাম পৌরসভা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিখোঁজ বিএনপি নেতা হুমায়ুন পারভেজের ফতেপুরের বাড়িতে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি কর্নেল (অবঃ) এম আনোয়ারুল আজিম।
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মাদারীপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী হুমায়নু কবীরের সভাপতিত্বে বাদামতলা ভুইয়া কমিউনিটি সেন্টারে এক দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ভিপি খন্দকার মাসুকুর রহমান ।
মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ওমর ফারুক লিটনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য ও পিস এম্বাসেডর জাকির হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক ফয়েজ মোহাম্মদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন প্রমূখ।
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, স্টেশন রোড়ের দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তৃতা করেন পাঁচবিবি থানা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল গফুর মন্ডলের ,পৌর বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক, পৌর কমিটির সদস্য আবু সাঈদ আহম্মেদ, সদস্য আবুল হোসেন খায়ের স্বপন।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে উপজেলার তারাব পৌরসভার রূপসী কাজী পাড়া এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক বিজিএমইএ সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির।
গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা)উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে পৌর বিএনপির সভাপতি ফারুক আহম্মেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান মন্ডল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক কবির আহম্মেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি রেজানুল হাবীব রফিকসহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।