পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফয়সাল আমীন : সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও চলছে মাদকবিরোধী অভিযান। দেশের অন্যান্য স্থানে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটলেও সিলেটে এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। র্যাব ও পুলিশের অভিযানে মাদকসেবী ও বিক্রেতারা আটক হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে সিলেটের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। সেই সাথে নেট্ওর্য়াক ও রোডও। মাদক বহনের নিরাপদ রোড সিলেট-কক্সবাজার। প্রতিদিন ্ওই পথে ৪টি সংস্থার আন্তজেলা বাস চলাচল করে। এই পথ ধরে মাদকের নিরাপদ নেট্ওয়ার্ক গড়ে উঠেছে সিলেট কেন্দ্রীয় কদমতলী বাস টার্র্মিনাল। নেটওর্য়াকের হোতারা হচ্ছেন, সমাজের প্রতিষ্টিত শ্রেণির লোকজন। তারা পরিচিত ও ক্ষমতাশীল, কিন্তু মুখোশের আড়ালে মাদকই তাদের একান্ত নেশা-পেশা। যদিও সিলেটের মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক স্পটগুলো চিহ্নিত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে চলমান অভিযানে ২০-২৫ জনকে আটক, অর্ধশতাধিকের বেশি মাদকব্যবসায়ী ও মাদকসেবীকে দÐ, মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু সিলেট নগরী ও শহরতলির চিহ্নিত মাদকস্পটগুলো ও মাদকব্যবসায়ীরা রয়ে গেছে আড়ালে। এর আগেই সিলেটের শীর্ষ মাদকব্যবসায়ীরা গা ঢাকা দিয়েছে।
সিলেট নগরী সীমান্তবর্তী হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীরা এটিকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। সেই সুবাদে সিলেট হয়েই বিভিন্ন মাধ্যমে দেশের অন্যান্য স্থানে পৌঁছে যায় মাদক। আবার সিলেটের তরুণ ও যুবসমাজের বিশাল অংশ মাদকে অভ্যস্থ হয়ে ওঠেছে। প্রতিনিয়তই বাড়ছে মাদকসেবীর সংখ্যা। আর এজন্য নগরীর ও শহরতলির অর্ধশতাধিক স্পটে প্রায় প্রকাশ্যেই চলে আসছে মাদকব্যবসা। নগরীর দক্ষিণ সুরমার পুরাতন ও নতুন রেল স্টেশন, একই এলাকার চান্দের বাড়ি, ডগরপার, আখতারের কলোনি, ক্বিনব্রিজের নিচে, চাঁদনীঘাট, ঝালোপাড়া, বাস টার্মিনাল, টিলাগড়, নগরীর কাষ্টগড়ের সুইপার কলোনি, মুন্সীপাড়া শফিকের কলোনি, মহাজনপট্টি, লালদীঘিরপাড়, ভার্থখলা, শিববাড়ী, কাজিরবাজার এবং শহরতলির সালুটিকর, শাহপরাণ বাজার এলাকা, টুকেরবাজার নদীরপাড়, বিমানবন্দর এলাকার রঙিটিলা। এসব এলাকায় এখনও কোনো অভিযান হয়নি কিংবা যারা ওইসব স্পট নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের আটক করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ প্রসঙ্গে র্যাব-৯ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা গুরুত্বসহকারে অভিযান পরিচালনা করছি। চলমান অভিযানের খবর শুনে অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। মাদক স্পটগুলোতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মাদক বিক্রি। তারপরেও অভিযান থেমে নেই। গডফাদারদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে অনুরূপ মন্তব্য সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহাবেরও। তিনিও বললেন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে তারা অভিযান পরিচালনা করছেন।
এদিকে সিলেট জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের দেয়া এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ফেব্রæয়ারি থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ৬১৯টি মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এক বছরে মোট ১৯০টি মামলা করা হয়। আটক করা হয় ১৮২ জনকে। এক বছরে সিলেটে জব্দকৃত গাঁজার পরিমাণ প্রায় ৬০ কেজি, ইয়াবা দুই হাজার ৯২৭ পিস, হেরোইন ১১ গ্রাম ও ফেনসিডিল ১৫৬ বোতল। এ ছাড়া অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়ী বা কোনো চালান আটক করতে পারেনি অধিদপ্তর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।