পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থায়ন করছে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক। এ জন্য সাড়ে পাঁচ কোটি মার্কিন ডলারের একটি ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। প্রতি ডলার ৮০ টাকা বিনিময় হারে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ হয় প্রায় ৪৪০ কোটি টাকা। গতকাল বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এর সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান। এ ছাড়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) নির্বাহী পরিচালক ও সিইও মাহমুদ মালিক ও চিমিয়াও ফানের মধ্যেও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ প্রকল্পের জন্য পাঁচ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত ঋণসহায়তা বিশ্বব্যাংক এর আইডিএ তহবিল থেকে দেওয়া হবে। এ ঋণ ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে এবং উত্তোলিত অর্থের ওপর শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। এ প্রকল্পের অতিরিক্ত অর্থায়নে ঋণ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিশ্বব্যাংক বোর্ডে ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল অনুমোদিত হয়।
কাজী শফিকুল আযম বলেন, প্রকল্পটির সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বিশ্বব্যাংক অতিরিক্ত অর্থায়ন করছে। এ অংশ বাস্তবায়নে নারী প্রধান পরিবারগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
চিমিয়াও ফান বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, জ্বালানি চাহিদা মেটানো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করা। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হচ্ছে, অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পরিবেশ সম্মত জ্বালানি নিশ্চিত করছে।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে বলা হয়, মূল প্রকল্পটির জন্য (১৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমতুল্য) ঋণ চুক্তি ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৪ সালের ৩০ জুন প্রথম অতিরিক্ত অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের সাথে ৫০ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছিল। সেসময় চুক্তি হয় প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা পাওয়ার সেল ও ইডকলের মধ্যে। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট অবজেক্টিভ ইন্ডিকেটর অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে এক দশমিক সাত মিলিয়ন সুবিধাভোগীর কাছে নবায়নযোগ্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানি পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত সময়ের আগেই ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে অর্জিত হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে মধ্যে সুবিধাভোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় দুই দশমিক দুই মিলিয়ন বা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ক্ষেত্রে ইডকল এর সাফল্যের জন্য সোলার ইরিগেশন পাম্প, সোলার মিনি গ্রিড এবং উন্নত চুলা স্থাপনের জন্য বিশ্বব্যাংক আইডিএ তহবিল থেকে শুধুমাত্র ইডকলকে দ্বিতীয়বার অতিরিক্ত অর্থায়নে ঋণ সহায়তার প্রস্তাব করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ হবে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর। বর্তমান প্রকল্পের তিনটি কম্পোনেন্ট রয়েছে, এ্যাসেস টু ইলেকট্রিসিটি, হাউজহোল্ড অ্যানার্জি এবং সেক্টর টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্স এর আওতায় শূণ্য চার মিলিয়ন উন্নত চুলা ১ হাজার সোলার ইরিগেশন পাম্প এবং ৩০টি সোলার মিনি গ্রিড স্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত উন্নত করার জন্য সরকাররের নীতি বাস্তবায়নে এবং একই সঙ্গে জলবায়ু ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক অবদান রাখবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।