Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আট বছরে সর্বনিম্ন দরে ইউনাইটেড এয়ার

| প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ভ্রমণ ও আবাসন খাতের ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড। তালিকাভুক্তির পর থেকেই বিনিয়োগকারীদের কোনো সময় একটি টাকাও লভ্যাংশ হিসেবে দিতে পারেনি। পুঁজিবাজার থেকে আইপিও ও রাইটের মাধ্যমে দুই দুই বার টাকা নিয়েও বিনিয়োগকারীদের স্টক ডিভিডেন্ডের নামে শুধু কাগজ ধরিয়ে দিয়েছে। যে পরিমাণ টাকা পুঁজিবাজার থেকে নিয়েছে সে পরিমাণ অর্থ ব্যাংক থেকে নিলে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ টাকা সুদ বাবদ দিতে হতো। কিন্তু কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের উদ্দেশ্যই বোধহয় শুধু নেবে কিন্তু দেবে না। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর তার তালিকাভুক্তির সর্বনিম্ন স্তরে এসে ঠেকেছে। ১০ টাকা ফেসভ্যালুর ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের শেয়ার দর এখন চার টাকা। অবশ্য ইতিমধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩ টাকার ঘর স্পর্শ করেছে। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের সময় এর দর এক পর্যায় ৩.৯০ টাকায় নেমে আসে। একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি নিয়েও নীতি নির্ধারণী মহলকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যে লুটপাট করা যায় ইউনাইটেড এয়ার তার জলন্ত উদাহরণ। কিন্তু এ কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ এ কোম্পানিতে আটকে আছে। প্রতিনিয়তই বিনিয়োগকারীদের লোকসানে শেয়ার বিক্রি করতে হচ্ছে। অবশ্য কোম্পানিটির ক্রান্তিকাল তখন থেকেই শুরু হয় যখন কোম্পানির পরিচালকরা শেয়ার বিক্রি করে বিদায় নিতে শুরু করে। যদিও এ কোম্পানির বেশিরভাগ পরিচালকদের এককভাবে দুই শতাংশের নিচে শেয়ার ছিলো। বিএসইসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী, যেসব পরিচালকদের দুই শতাংশের নিচে শেয়ার রয়েছে তারা পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবে না। তাই দীর্ঘদিন পরিচালনা পর্ষদে থাকা বেশিরভাগ পরিচালকদের তাদের স্বপদ ছাড়তে হয়েছে। যেহেতু পরিচালকই থাকতে পারবে না তাই এ কোম্পানির শেয়ার ধরে রেখে আর কি হবে- এই ধারণায় হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন পরিচালকরা। বিএসইসি’র নির্দেশনা এ কোম্পানির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলাফল হিসেবে আজ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের অবস্থা সবাই দেখছে। ধুকরে ধুকরে অতলে হারিয়ে যাওয়ার লাইভ ভিডিও দেখাচ্ছে ইউনাইটে এয়ার।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ