পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোটার : ভারতের ত্রিপুরা থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কুমিল্লা হয়ে এই বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ‘সূর্যমণিনগর (ত্রিপুরা, ভারত) হতে কুমিল্লা উত্তরে (বাংলাদেশ) বিদ্যুত সরবরাহের জন্য কুমিল্লা উত্তরে ৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক স্টেশন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে এক হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য, দেশের পূর্বাঞ্চলের ক্রমর্বধমান বিদ্যুতের চাহদিা পূরণ করা। একই সঙ্গে ত্রিপুরা হতে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
এদিকে প্রায় অর্ধশতক পর ফরিদপুরের মধুখালী থেকে মাগুরা শহর পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে ২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ। গতকাল একনেক সভায় এ সংক্রান্ত আলাদা একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে এক হাজার ২০২ কোটি টাকা। মাগুরা জেলাকে চলমান পদ্মাসেতুর মাধ্যমে ঢাকা ও দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপন করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকার আশা করছে, প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে অঞ্চলে বাণিজ্য প্রসার ও অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে এ রেলপথ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রায় ৪৬ বছর আগে ফরিদপুর মধুখালী থেকে কামারখালী পর্যন্ত রেলপথ ছিল। কিন্তু এটা এখন আর ব্যবহার হয় না। তবে কামারখালী থেকে মাগুরা পর্যন্ত কোনো রেলপথ নেই। মধুখালী থেকে কামারখালী পর্যন্ত বিদ্যমান রেলপথটি সংস্কার করে ব্রডগেজ এবং কামারখালী থেকে মাগুরা পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মিত হবে।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ছাড়াই শেষ করা হবে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরির প্রকল্প। এজন্য আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর ইনহ্যান্সিং এ্যাসেস টু সার্ভিসেস (আইডিএ) নামের প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব গতকাল একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটিসহ মোট ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। সবগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৮৫৫ কোটি, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৭১ কোটি এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ২ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে দুই এবং তিন ফসলের জমি বিদ্যুত কেন্দ্র তৈরিতে কাজে লাগানো যাবে না। এক ফসলি জমি হলে সেখানে বিদ্যুত কেন্দ্র করা যেতে পারে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের সবগুলো নদী বন্দর আবার চালু করতে হবে। কেননা আমরা যেহেতু ভারত ও নেপালের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছি, তাই নদী বন্দর গুলো করা গেলে পরিবহন ব্যয় কমবে এবং সড়ক পথের উপর চাপ কমবে। তাই ড্রেজিং করে হলেও নদীবন্দরগুলো চালু করতে হবে। অপর এক প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পর্যায়ক্রমে সব জেলার পোস্ট অফিসগুলোর মাধ্যমে পোস্টাল সার্ভিস বিস্তৃত করতে হবে। এজন্য রেল, বিমান নৌ সব ধরনরে যোগাযোগ নেটওয়ার্কিং কাজে লাগাতে হবে।
একনেক বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাস্তবায়নে বিলম্ব হওয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিশ্বব্যাংক সহযোগিতা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ প্রেক্ষাপটে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নেই প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রকল্পটি দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এ পর্যায়ে প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা। প্রথম সংশোধনীতে প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা। সেখান থেকে ২৪৬ কোটি টাকা বেড়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নেই গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পটির বাকি কাজ শেষ করা হবে। একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ ৪০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সৌর বিদ্যুত চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ প্রকল্প, ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ, সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫টি জোনের জেলা মহাসড়কগুলোর যথাযথ মান ও প্রশস্ততা উন্নীতকরণ সংক্রান্ত পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।