পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন একেবারে অর্থব, এই সরকারের বশংবদ কমিশন। এরা একটি নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে না।
কথায় কথায় সরকারি দলের ধমকের মধ্য দিয়ে যারা আইন পরিবর্তন করে, সেই নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই বাতিল করতে হবে। তা না হলে এখানে কোনো নির্বাচন হবে না। গতকাল (মঙ্গলবার) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবেনা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, একদলীয় নির্বাচনে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না। সেই জন্যই বলছি, সবার আগে দেশনেত্রী বেগম খালদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ ও নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েই যাবে। আমরা দেশনেত্রীকে ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবো না। এর আগে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন করে নির্বাচন করতে হবে। অন্যথায় দেশে নির্বাচন হবে না।
খালেদা জিয়াকে কারাবন্দিত্বের জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্রের নেত্রী, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রেখেছেন, দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন; সেই নেত্রীকে আজকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে এই অগণতান্ত্রিক, অবৈধ সরকার। যারা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিল তারাই আজকে আবার দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছে। দেশনেত্রীকে কারাগারে আটকিয়ে রেখে এদেশের মানুষের সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দেশের মানুষের সমস্ত অধিকারগুলোকে হরণ করে নিয়েছে সরকার। সেই জন্য সবাইকে জেগে উঠতে হবে। নতুন করে শপথ নিতে হবে, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারগুলো ফিরিয়ে আনার জন্য সকলকে ঐক্যববদ্ধ হতে হবে। দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আনতে হবে। সেই আন্দোলনে অবশ্যই সবাই সম্পৃক্ত করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ যে আওয়ামী লীগ কথা বলছে, তাদের নিজেদেরও কথা বলার অধিকার ছিল না। কারণ বাকশাল কায়েম করে তাদেরও রাজনীতির অধিকার ছিল না। জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে তাদের কথা বলার, রাজনীতি করার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। আজ দেশের মানুষকে মাদকের নামে পাখির মতো গুলি করে মারছে। কারণ তারা পারছে না মাদকের ভয়াবহতা থেকে সমাজ-দেশকে মুক্ত করতে। কারণ আজ দেশে এক ব্যক্তির শাসন চলছে। কোনো রাজনৈতিক দল বা গণতান্ত্রিক সরকারের শাসন চলছে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা থেকে জিয়াউর রহমানের জন্ম হয়েছে। যখন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে, তখন জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, এ দেশের সংবিধানের প্রথম কাটাছেঁড়া করেছে আওয়ামী লীগ। নিজেদের একদলীয় শাসন কায়েম করতে একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে সংবিধান পরিবর্তন করেছ।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এখন আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনা। এজন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে এখন থেকে সকলে প্রস্তুতি নিন। শুধু জেলে তালা ভাঙবো ইত্যাদি ¯েøাগান শুনতে আর চাই না। রাস্তায় নামার প্রস্তুতি নিন।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করা আর আত্মহত্যা করা একই কথা। যেদিন আমরা নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে পারব, যেদিনই নির্বাচন হবে। আর আগে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরে আরা সাফা, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্রদলের এজমল হোসেন পাইলট বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, নাজমুল হক নান্নু, সিরাজউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।