পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
গতকাল আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, কমিশন সভায় এই তিন সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি আরো জানান, সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তফসিলে মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন ২৮ জুন এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া যাচাই-বাছাই করতে পারবেন ১ ও ২ জুলাই। ১০ জুলাইকে নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিইসি জানান, তিন সিটি নির্বাচনের তফসিল আগামী ১৩ জুন ঘোষণা করা হবে। ফলে তফসিলের কার্যক্রম ওইদিন থেকে কার্যকর হবে অর্থাৎ সেদিন থেকেই প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। এর আগে সিইসির নেতৃত্বে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে ভোটের তারিখ নির্ধারণ বিষয়ে বৈঠক হয়।
উল্লেখ্য রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে ২০১৩ সালের ১৫ জুন ভোট হয়। তবে তিন সিটিতে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে। এ হিসেবে আগামী ৫ অক্টোবর রাজশাহী, ৮ অক্টোবর সিলেট ও ২৩ অক্টোবর বরিশাল সিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মেয়াদ শেষের আগের ছয় মাসের মধ্যে এসব সিটিতে নির্বাচনের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে নির্বাচনের বিধান ছিল না। বর্তমান দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়। এজন্য দলীয় প্রার্থীর পক্ষে দলীয় কর্মীর প্রচারে অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাছাড়া সংবিধানের ৩৭ ও ৩৮ ধারায় সবার সভা, সমাবেশ ও চলাফেরার অধিকার রয়েছে। যার কারণে বর্তমান বিধানটি আমাদের কাছে ঠিক মনে না হওয়ায় এ বিধানটি বাদ দিয়ে আমরা এমপিদের প্রচারে চালানোর সুযোগ দিয়েছি। তবে ওই আসনের এমপির নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। এমপিরা প্রচার চালালে নির্বাচন প্রভাবিত হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এমপিরা রাষ্ট্রীয় সুবিধাভোগী নন। তারা কোনও সরকারি অফিস ব্যবহার করেন না। এজন্য আমরা মনে করি, এখানে নেতিবাচক কোনও প্রভাব পড়ার সুযোগ নেই।
স্থানীয় প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না কিন্তু অন্য এমপিরা পারবেন- এক্ষেত্রে যে পারবে না তার ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এটি সাংঘর্ষিক হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কোনও উত্তর দেনিনি সিইসি। তবে এ ব্যাপারে কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় এমপিদের এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রয়েছে। তাদের ত্রাণ, অনুদান দেওয়ার ক্ষমতা আছে। তারা কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ কারণে নির্বাচন যেন প্রভাবিত না হয় সেজন্য আমরা তাদের প্রচারণার বাইরে রেখেছি। তবে তারা এলাকায় যেতে পারবেন এবং ভোট দিতে পারবেন। এলাকায় গেলে বা ভোট দিলে প্রভাবিত হওয়ার কোনও সুযোগ নাই। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।